সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলতে চলেছে অরুণাচল প্রদেশের দরজা। পর্যটন ব্যবসায় রাজ্যটিকে এগিয়ে দিতে নিয়ম-কানুন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শুরু হয়েছে আলাপ আলোচনা। এমনিতে অরুণাচল প্রদেশ পিকচার পোস্টকার্ডের মতো সুন্দর। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য যেন ডালি ভরে সাজিয়ে রেখেছে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি অঞ্চলকে। তবে এতদিন সেই সৌন্দর্যকথা শুধু দেশের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। নিয়মের বেড়াজাল টপকে এবার তা সুদূর প্রসারী হবে। এই কাজ শুরু হলে অরুণাচল প্রদেশই হবে উত্তর পূর্বের প্রথম রাজ্য, যেখানে সরকারি ফিতের ফাঁসে আটকে থাকা নিয়ম স্বস্তিতে শ্বাস ফেলবে। সিকিম, লাদাখের মতোই বিদেশিদের কাছে ভারতীয় পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নেবে অরুণাচল প্রদেশ। চিন বরাবরই অরুণাচলকে নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে। কিন্তু ভারত যে দাবিতে কর্ণপাত করছে না, কেন্দ্রের এই নয়া প্রকল্প সেই কথাই জানান দিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে পর্যটন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনায় বসবে কেন্দ্র। তারপরেই অরুণাচল প্রদেশের সংরক্ষিত এলাকা বিদেশি পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সংরক্ষিত এলাকা গুলিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মোটামুটি পাঁচ বছরের একটা সময়সীমার অনুমতি দেওয়া হবে। তারপর প্রয়োজন বুঝে এই সময়সীমা বাড়তেও পারে। তবে যাই হোক না কেন, পাঁচ বছর পরেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও পাঁচ বছরের আগে দু’বছরের অনুমতি পাবে পর্যটন সংস্থাগুলি। পরে তা বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, অরুণাচলের তাওয়াং, জিরো, বমডিলা উপত্যকায় পর্যটকের আনাগোনা বাড়ুক, এমনটাই চাইছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। এরকম বহু সুন্দর জায়গা ছড়িয়ে রয়েছে গোটা অরুণাচল প্রদেশ জুড়ে। প্রথমে অরুণাচল দিয়ে শুরু হোক। এরপর ক্রমশ অন্যান্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও একটা সময় বিদেশীদের ঘোরাফেরায় নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তবে সংবেদনশীল এলাকা পর্যটনকেন্দ্র হলেও কেন্দ্রের নজরদারি থাকছেই। এই প্রসঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী কে জে আলফন্স বলছেন, ‘অরুণাচলের পর্যটনকে সুদূর প্রসারী করতে দুবছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখেছিলাম। নিয়ম কানুনে শিথিলতা এলে পর্যটনে উন্নত হবে রাজ্য। অনেক না দেখা জায়গাও দর্শনীয় হয়ে উঠবে।’
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন সচিব রেশমী ভার্মা বলেন, ‘এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে অরুণাচল প্রদেশে পর্যটকের সমাগম এক ধাক্কায় অনেক বেড়ে যাবে। এমনিতেই রাজ্যের প্রসিদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র তাওয়াং। বৌদ্ধ মনাস্ট্রির জন্য এই জায়গা বেশ পরিচিত। তাওয়াংয়ের পাশাপাশি ইকো-ট্যুরিজমের জন্য নজর কেড়েছে রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের দিবাং উপত্যকা।’ এদিকে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের নয়া দিগন্ত উন্মুক্ত হতে দেখে স্বভাবতই খুশি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। প্রায় প্রতিদিনই টুইটারে পোস্ট করছেন রাজ্যের অনির্বচণীয় প্রাকৃতিক শোভা।
It’s paradise on earth – the beautiful Shungetser Lake at Tawang. @BJP4India @PMOIndia @tourismgoi @incredibleindia @alphonstourism @KirenRijiju @DCMChownaMein pic.twitter.com/XeqsFndbvV
— Pema Khandu (@PemaKhanduBJP) March 24, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.