সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসকের পরামর্শা ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়, একথা কমবেশি সকলেই জানে। কিন্তু বাস্তবে মেনে চলেননা অনেকেই। ব্যাথা-যন্ত্রণা,জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে নিজেরাই চিকিৎসক হয়ে যান অনেকে। ফার্মাসিস্টের পরামর্শ মতো বাজার চলতি পেইনকিলার বা প্যারাসিটামল বা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, এতটাই যে বাধ্য হয়ে এই ওষুধগুলি বাজার থেকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্টের তৈরি চিকিৎসকদের কমিশন।
মোট ৩৪৯টি বহুল-ব্যবহৃত ওষুধের উপর গবেষণা চালিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি কমিটি। যার প্রায় প্রত্যেকটিই দেদার বিকোয় খোলা বাজারে। অতি পরিচিত পেইনকিলার, অ্যান্টি-বায়োটিক, সর্দিকাশি, হজমের ওষুধ, সুগার-প্রেশার কী নেই তালিকায়। এই ৩৪৯টি ওষুধের মধ্যে ৩৪৩টিকেই নিষিদ্ধ ঘোষণার সুপারিশ করল কমিশন। বাকি ৬টি ওষুধকেও বিপজ্জনক তালিকাতেই রাখা হয়েছে। এই ওষুধগুলিরও বিক্রি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। যে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলি এই তালিকায় রয়েছে তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইবুপ্রোফেন, অ্যাসিক্লোফিন্যাক, ক্লোরোজোক্সোজন, সেরাসিওপেপটিডেজের মতো পেইন-কিলার। প্যারাসিটামল জাতীয় একাধিক ওষুধ রয়েছে তালিকায়, রয়েছে সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত কফ সিরাপও।
আসলে ওই ঔষধগুলি দুটি যৌগের মিশ্রণে তৈরি ‘কম্বিনেশন’। কম্বিনেশন ওষুধগুলির একটি যৌগ হয়তো খাওয়ার আগে খেতে হয়, অপরটি হয়তো খেতে হয় খাওয়ার আগে। এর ফলে জটিলতা তৈরি হয়। বছর তিনেক আগে ওষুধগুলি বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি তৈরি করে। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধগুলি শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক, এমনকি বিষক্রিয়াও হতে পারে। কমিটির সুপারিশ মেনে ওষুধগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের প্রচুর লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা। মনে করা হচ্ছে লোকসানের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি ছাড়াতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.