সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর আদর্শ ও দর্শন নিয়ে অনেকের খটকা আছে। কেউ মানেন, কেউ বিরোধিতা করেন। কিন্তু তাঁর পোশাক ও ফ্যাশনের রুচি নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন নেই। প্রশাসনিক পদের শীর্ষে যাঁরা থাকেন, তাঁদের পোশাক নিয়ে আলাদা একটা চর্চা থেকেই যায়। সে ইন্দিরা গান্ধী হোন বা মনমোহন সিং। প্রত্যেকেই নিজস্ব ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই পোশাকে আলাদা মাইলস্টোন তৈরি করেন। তবে সেই ঘরানায় নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচিং জ্যাকেটে তিনি যেভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন, তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এবং দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিও প্রভাবিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পোশাকের শৌখিনতায়। বাজারে বিপুল জনপ্রিয় মোদি কোট। জহওর কোটের পর আর কোনও প্রশাসনিক প্রধানের পোশাক ফ্যাশন দুনিয়ায় এমন হিল্লোল তোলেনি।
[ নকশালদের ভয়ে কাঁটা, মুক্ত কারাগারে না পাঠানোর করুণ আর্তি লালুর ]
কিন্তু প্রশ্নটা হল, এই শৌখিন পোশাকের খরচ বহন করে কে? ঠোঁটের ডগায় একটাই উত্তর ভেসে আসে, সরকার। তাহলে তো প্রধানমন্ত্রীর শখ মেটাতে বেশ ভালরকমই গাঁটের কড়ি খরচ হয় সরকারের। হিসেবমতো যা জনগণের টাকা। যে মোদি দারিদ্র ঘোচানো থেকে দেশকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষে কর্মযজ্ঞে নেমেছেন, যিনি নাকি রাতে ঘণ্টা চারেকের বেশি ঘুমোন পর্যন্ত না, তিনি কি না জনগণের টাকায় বিলাসিতা করবেন! খটকা লেগেছিল রোহিত সাবরওয়ালেরও। তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাছে জানতে চান। তাঁর একটাই প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর পোশাকের এই বিপুল খরচ বহন করে কে?
[ জানেন, ভারতে কোন সম্প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ধনী? ]
উত্তরটা কিন্তু চমকে দেওয়ার মতোই পেয়েছেন। সাবরওয়াল অবশ্য শুধু মোদিতেই ক্ষান্ত হননি। অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিংয়ের ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে তাঁকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পোশাকের খরচ সরকার বহন করে না। অর্থাৎ মোদিরও এই বাহারি পোশাকের খরচ যায় তাঁর পকেট থেকেই। অথবা অন্য কেউ তা স্পনসর করেন। কিন্তু তা কখনওই সরকারি ব্যয় নয়। তিনি জানাচ্ছেন, অনেকের মনেই এ নিয়ে ভুল ধারণা আছে। খানিকটা ধোঁয়াশাও আছে। কিন্তু এই উত্তর সে প্রশ্নে অনেকটাই স্বচ্ছতা এনে দিল। জনগণের টাকায় যে প্রধানমন্ত্রী বিলাসিতা করেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে এই উত্তর কেন্দ্রীয় শাসকদলকেও অক্সিজেন জুগিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ নিয়ে বারবার খোঁটা দিয়েছেন। এবার আর তার কোনও উপায় থাকল না। মত শাসকদলের নেতাদের। তাঁরা বরং পালটা কটাক্ষ করে বলছেন, বিরোধীদের হাতে বলার কিছু নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বাজার গরম করেন। কিন্তু এবার সে অভিযোগও ভোঁতা হয়ে গেল।
[ ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসাবে আর বৈধ নয় পাসপোর্ট ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.