ওড়িশার বাহানাগার কাছে দুটি ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে উলটে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পরই বিরোধীরা সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আবার বলেন, অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম না থাকার কারণেই এহেন ভয়ংকর রূপ নিয়েছে দুর্ঘটনা। এবার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলে প্রযুক্তগত উন্নতির জন্য বাজেটে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ রবাদ্দ করা হয়েছিল। যে এলাকার আওতায় পড়ে বালেশ্বরও। কিন্তু গত তিন বছরে প্রযুক্তির জন্য একটি নয়া পয়সাও খরচ করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, এই রুটে কবচ ইনস্টলের জন্য ৪৬৮.৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ১৫৬৩ কিমি দীর্ঘ রেললাইনের জন্য এই অর্থ খরচ করে কবচ বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে মার্চ পর্যন্ত এর জন্য কোনও অর্থ খরচ করা হয়নি। ট্রেন সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য যে সিস্টেম চালু করার কথা ছিল এই জোনেই, তার জন্য ৩১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেখানেও গত বছর মার্চ পর্যন্ত টাকা খরচের কোনও তথ্য নেই।
এখনও পর্যন্ত তদন্তে উঠে এসেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের গন্ডগোলই দায়ী। অথচ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে অটোমেটিক ব্লক সিগন্যালিং, সেন্ট্রালাইসড ট্রাফিক কন্ট্রো এবং ট্রেন সংঘর্ষ এড়ানোর সিস্টেমের জন্য ১৬২.২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনও পর্যন্ত এর পিছনে কোনও অর্থই খরচ করা হয়নি।
প্রশ্ন হল, কেন বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হওয়ার পরও কোনও কাজ হয়নি? জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় নাকি রেল সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজের জন্য কোনও টেন্ডার ডাকাই হয়নি। অর্থাৎ রেল এ বিষয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করলে অনায়াসেই বিপদ এড়ানো সম্ভব হত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.