Advertisement
Advertisement

সরকার চাইলেই ২৫ টাকা পর্যন্ত কমাতে পারে পেট্রলের দাম, দাবি চিদম্বরমের

কলকাতায় আজ পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৫৩ পয়সা।

Govt. can reduce petrol price by Rs. 25, claims P Chidambaram

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 23, 2018 1:53 pm
  • Updated:May 23, 2018 2:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার যখন রীতিমতো চাপে তখন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে কংগ্রেসের। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম একটি টুইটে দাবি করেছেন, ‘সরকার চাইলেই ২৫ টাকা কমিয়ে দিতে পারে পেট্রলের দাম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই মুহূর্তে পেট্রলে লিটারপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত মুনাফা হয় সরকারের, যার ন্যায্য দাবিদার সাধারণ মানুষ। সরকার চাইলেই মুনাফা কমিয়ে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।যদিও মোদি তা করবেন না।’

 

[জ্যাকসনের স্টেপ নকলে বিপদ, মেরুদণ্ডের গুরুতর অসুখে ভুগছেন নৃত্যশিল্পীরা]

কর্ণাটকের ভোট মেটার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। দিন দুই আগেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙেছে জ্বালানি, কিন্তু তারপরও অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি। আজও পেট্রলে লিটার প্রতি ৩০ পয়সা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ২৬ পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে শহর কলকাতায় আজ পেট্রলের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৫৩ পয়সা। অন্যদিকে ডিজেলে লিটারপ্রতি দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৮৯ পয়সা। কর্ণাটকের ভোট শেষ হওয়ার পরই পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই ভারত পেট্রোলিয়াম, ইন্ডিয়ান ওয়েল এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মত আধা সরকারি সংস্থাগুলি। সংস্থাগুলির দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমে যাওয়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।

[গভীর রাতে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করল ‘ভূত’, কাঠগড়ায় স্কুলের ওয়ার্ডেন]

এদিকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারেও। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। আজ কলকাতার বিভিন্ন বাজারে আগের তুলনায় বেশি দামে বিকোচ্ছে মাছ, সবজিও। ইতিমধ্যেই ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছে বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন-সহ বেশ কয়েকটি পরিবহণ সংস্থা। ভাড়া বৃদ্ধি না হলে ধর্মঘটে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছে তাঁরা।

[দিল্লির এইমস-কে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার তসলিমা নাসরিনের]

এর আগে জ্বালানির দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল ইউপিএ-টু সরকারের শেষবছরে, সেসময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন চিদম্বরমই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোটপ্রচারের এজেন্ডায় ছিল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। সেসময় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের প্রচুর কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল চিদম্বরমকে। যদিও, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম এখনকার তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সুবিধাও পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল অশোধিত তেলের দাম। তাঁর প্রভাব অবশ্য এদেশে পড়েনি, কারণ সেসময় মোদি সরকার তেলের পিছনে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নয়। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০১৬-র জানুয়ারি পর্যন্ত এই ১৫ মাসের মধ্যে মোট ১১ বার এক্সাইজ ডিউটি বা শুল্ক বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এই ১৫ মাসে পেট্রলে শুল্ক বেড়েছিল ১১২ টাকা ৪৭ পয়সা, আর ডিজেলে বেড়েছিল ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আবার বাড়তে শুরু করলেও শুল্ক আর কমায়নি কেন্দ্র। গত দু বছরে জ্বালানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে মাত্র ১ বার তাও লিটারপ্রতি ২ টাকা করে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছে, কেন্দ্রের এই শুল্কনীতির জন্যই আজ আকাশছোঁয়া জ্বালানি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement