সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল দেশ: কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও চিনের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র সরকার। তাই এবার সেনার তিন বাহিনীকেই ৫০০ কোটি টাকা প্রতি প্রকল্পে অস্ত্র কেনার ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতিতে, সহজ কথায় লালফিতের জট এড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রতি প্রকল্পে হাতিয়ার কেনার জন্য সেনার তিন বাহিনীর সহ-প্রধানদের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর ফলে এবার প্রয়োজন বুঝলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক বা একাধিক সংসদীয় কমিটির অনুমোদনের বেড়াজালে বা টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পাশে সরিয়ে যুদ্ধের হাতিয়ার কিনতে পারবে ফৌজ। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি ও পরিস্থিতি মোতাবেক অস্ত্র আমদানি সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে (Uri Attack) ভারতীয় সেনার ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে স্বাধীনভাবে অস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। একই পদক্ষেপ করা হয় বালাকোটে বায়ুসেনার সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরও। পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের আগ্রাসন রুখতে তাই এবারও সেই পথে হেঁটেছে সরকার। অতীতে সরকারের এই পদক্ষেপে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বায়ুসেনা। বালাকোট হামলার পর ইজরায়েল থেকে বড় সংখ্যায় ‘Spice-2000’ মিসাইল ক্রয় করে এয়ার ফোর্স। একইভাবে ইজরায়েল থেকে ‘Spike’ অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল কেনে স্থলসেনা।
প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) তিন সেনার প্রধানকেই চিন সীমান্তে আরও ‘কড়া নজরদারি’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান (Galwan), ১৪ নং পেট্রলিং পয়েন্ট, এবং পাংগংয়ের দিকে স্থলসেনাকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আকাশপথে চিনা বায়ুসেনার কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনাকে। কোনওভাবে চিন ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করলেই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নৌবাহিনীকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.