সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতেই হবে৷’’ দ্বিতীয় চিঠিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা৷ এর আগের চিঠিতে শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন কুমারস্বামী৷ অভিযোগ করেছেন, এক্ষেত্রে ‘ওম্বুডসম্যান’এর মতো কাজ করছেন রাজ্যপাল৷
[ আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খান জমি মাফিয়া, ঘোষণা যোগী প্রশাসনের]
এদিন রাজ্যপালের দ্বিতীয় চিঠি পাওয়ার পরই, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী৷ জানান, ‘‘আসনের প্রতি আমার এতটাও লোভ নেই৷ যদি আমি সরকার বাঁচাতে উদগ্রীব হতাম, তাহলে যেদিন আনন্দ সিং ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেদিনই আমি আমেরিকা থেকে ফিরে আসতাম৷ কিন্তু আমি সময় নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম৷ রাজ্যপালের কাছ থেকে আমি দ্বিতীয় প্রেমপত্র পেয়েছি৷ সেই চিঠি আমাকে খুব দুঃখ দিয়েছে৷’’ জানা গিয়েছে, শুক্রবার কর্ণাটক বিধানসভার অভিবেশনের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা ইয়েদুরাপ্পা৷ কটাক্ষের সুরে জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এদিনই শেষ বক্তব্য পেশ করবেন কুমারস্বামীর ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত তেমনটা হয়নি৷ শুক্রবার দুপুর তিনটে পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। তারপর অধিবেশন শুরু হতেই, মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয় চিঠি পাঠান রাজ্যপাল৷
[ আরও পড়ুন: শরণার্থীদের রাজধানী হতে পারে না ভারত, সাফ জানাল কেন্দ্র ]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই আস্থা ভোট ভেস্তে যায়৷ ওইদিন আস্থা ভোট হলে জেডি (এস)-কংগ্রেস জোট সরকারের পতন কার্যত নিশ্চিত ছিল। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর হুইপ মেনে জোটের বিদ্রোহী বিধায়করা আস্থা ভোটে অংশ নেবেন না বলে জানান। বিধানসভায় বিতর্কের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা এক দিনেই আস্থাভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন। পাল্টা আস্থা প্রস্তাব পেশ করে ইয়েদুরাপ্পাকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, বিরোধী দলনেতার খুব তাড়া রয়েছে।” দিনের বেশির ভাগ সময়ই সরকার পক্ষ ব্যস্ত ছিল কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীমন্ত পাটিলকে অপহরণের অভিযোগ নিয়ে। দলের অন্য বিধায়কদের সঙ্গেই বেঙ্গালুরুতে ছিলেন শ্রীমন্ত। কিন্তু তাঁকে বুধবার মুম্বইয়ে দেখা যায়। কর্নাটকের মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার অভিযোগ করেন, “বিজেপি শ্রীমন্তকে অপহরণ করেছে। বিধায়কদের পরিবার আমাকে ফোন করে এ কথা বলেছেন।” যদিও শুক্রবার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ শ্রীমন্ত পাটিল৷ তাঁকে অপহরণ করা হয়নি বলে জানান তিনি৷ ফলে শুক্রবারও কর্ণাটক বিধানসভায় জারি নাটক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.