সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হিংসা নিয়ে এবার মুখ খুলল আরসএসএস(RSS)। সংঘের দাবি, আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। সরকারের উচিত রাজধানীতে দ্রুত শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। বৃহস্পতিবার নাগপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ‘ভাইয়াজি’ জোশী (Suresh ‘Bhaiyyaji’ Joshi ) বলেন, “সরকারের উচিত যে যে এলাকায় অশান্তি চলছে, সেই এলাকাগুলিতে শান্তি ফেরানো।” এরপরই তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। হিংসার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৫ জনের। উত্তরপূর্ব দিল্লির অবস্থা এখনও সঙ্গীন। পুলিশ, এবং আধাসেনা কর্মীদের টহলদারি সত্ত্বেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি হিংসা। কোথাও দোকানপাট ভাঙচুর করা, কোথাও যানবাহন জ্বালিয়ে দেওয়া আবার কোথাও ধর্মস্থানে আক্রমণ। দিল্লির ‘ধর্মযুদ্ধ’ এখন একাধারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্ট, দুই আদালতেই ভর্ৎসনার শিকার হয়েছে পুলিশ এবং কেন্দ্র। এমনকী, আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ আসছে কেন্দ্রের উপরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সেনেটার এবং আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন একযোগে দিল্লির হিংসায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এবার গেরুয়া শিবিরের আতুড়ঘর আরএসএসও সরকারকে হিংসা নিয়ন্ত্রণ করার আরজি জানাল।
যদিও, আরএসএসের এই আরজিকে অনেকাংশে ‘লোকদেখানো’ এবং ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বলে দাবি করছে বিরোধীরা। দিল্লির বর্তমান হিংসার নেপথ্যে অনেকেই দায়ী করছেন বিজেপিকে। গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা কপিল মিশ্র, প্রবেশ বর্মা এবং অনুরাগ ঠাকুরদের উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরেই এই হিংসা ছড়িয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের একাংশের। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক অভয় শর্মার নামও। এই হিংসায় আক্রান্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ আবার অভিযোগ করছে, আরএসএসের ক্যাডাররাই এর নেপথ্যে আছে। সেই আরএসএসই এবার হিংসা থামানোর আরজি জানাল। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.