সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফ্রিকার গাম্বিয়ায় (Gambia) কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তির ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে। আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO’র। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সংস্থার অফিস। স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কা ছড়াচ্ছিল, এদেশেও কি বিক্রি হয় ওই কাশির সিরাপগুলি? এপ্রসঙ্গে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সিরাপ এদেশে বিক্রি হয় না। দেশীয় সংস্থার তৈরি হলেও তা কেবলমাত্র অন্য দেশে রপ্তানি করা হত।
মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল নামের ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিম আফ্রিকার নানা দেশে বিষাক্ত ওষুধ রপ্তানি করেছে তারা। বিশেষ কয়েকটি কফ সিরাপ খাওয়ার ফলে শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু বিষাক্ত কেমিক্যাল রয়েছে ওই চার কফ সিরাপের মধ্যে। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তারপরেই কিডনি বিকল হয়ে নিশ্চিত মৃত্যু।
হু-এর প্রধান টেড্রস গেব্রেয়াসাস টুইট করে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “এমন তরতাজা শিশুদের এইভাবে চলে যাওয়া, তাদের পরিবারের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। সেই জন্য হু-এর তরফ থেকে মেডিক্যাল সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, বিশেষ চারটি কফ সিরাপ খাওয়ার ফলে কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।” এর পরেই ফের টুইট করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। সেখানেই ভারতীয় ওষুধের উল্লেখ পাওয়া যায়। টুইটে লেখা হয়েছে, “ওই চারটি কফ সিরাপ ভারতীয় কোম্পানি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি। ইতিমধ্যেই ওই কোম্পানি সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে হু। তাছাড়াও ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা করা হবে।”
অভিযোগ আসার পরই শুরু হয়েছে তদন্ত। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.