Advertisement
Advertisement

Breaking News

রঞ্জন গগৈ রাজ্যসভা

রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, তুঙ্গে বিতর্ক

রাম মন্দির, এনআরসি, রাফালে, বিচারপতি লোয়া হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন গগৈ।

Government nominated former CJI Ranjan Gogoi to Rajya Sabha
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 17, 2020 8:46 am
  • Updated:March 17, 2020 8:46 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভার সদস্য হলেন সদ্য প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ(Ranjan Gogoi)। সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেন। অবসরের আগে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির গড়ার নির্দেশ সম্বলিত ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন বিচারপতি গগৈ। তাঁর সংসদে মনোনীত হওয়া নিয়ে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

Gogoi-Appoinment

Advertisement

প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন রাম মন্দির, অসম এনআরসি, ৩৭০ ধারা, রাফালে, বিচারপতি লোয়া হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন রঞ্জন গগৈ। কাকতালীয়ভাবে তাঁর দেওয়া রায়ে সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পেয়েছে শাসক শিবির। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অস্ফুট গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল সেসময়। গগৈ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর সেই গুঞ্জন প্রকাশ্যে চলে এল। তাঁর রাজ্যসভার নির্বাচনকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধীরা।

[আরও পড়ুন: ‘করোনা রুখতে যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’, ফের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর]

রাজ্যসভায় তাঁর মনোনয়নকে কটাক্ষ করে টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রামমন্দির, অসমে এনআরসি ইত্যাদি বিচারপতি গগৈয়ের দেওয়া রায়ের উল্লেখ করে মহুয়া টুইটে লেখেন, প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সংসদে মনোনীত হয়েছেন। এতে আমি অবাক হইনি। কারণ, ওঁর নির্দেশেই এনআরসি হয়েছে, তাড়াহুড়ো করে রাম মন্দির রায় দেওয়া হয়েছে, জম্মু কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে মামলা শোনেননি তিনি। ও রাজনীতিবিদ নাকি বিচারপতি? নাকি লোভী রাজা?

 

[আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলবারের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুন, নাহলে…’, কমল নাথকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের]

গগৈয়ের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসিও। তাঁর প্রশ্ন, এটা কী দেওয়া-নেওয়ার খেলা? এরপর আর স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় আমাদের আস্থা কীভাবে থাকবে? অনেক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা আবার গগৈয়ের মনোনয়নের নির্দেশের খবর টুইট করে বলেছেন, ছবিই কথা বলে। আম আদমি পার্টির বিধায়ক রাঘব চাড্ডা বলছেন, “এটা যে শুধু খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে তাই নয়, এর ফলে বিচারব্যবস্থার যে স্বাধীনতা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা অপূরণীয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement