কীর্তি চক্র পুরস্কার নিচ্ছেন শহিদ অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার ‘নেক্সট টু কিন’ নিয়মে বড়সড় বদল আসতে পারে। শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের কীর্তি চক্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ। সংসদে তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সেনা জওয়ানের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার নিয়মে বড়সড় বদল আসতে পারে।
সংসদে কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদের এক প্রশ্নের জবাবে সঞ্জয় শেঠ বলেন, তাঁদের কাছে শহিদের বাবা-মা এবং স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক পেনশন বণ্টনের একটি প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবটি বিবেচনা করে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে পেনশনের টাকা শহিদের স্ত্রী ও পিতা-মাতার মধ্যে ভাগ করার পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। সম্প্রতি বহু সেনা জওয়ানের পরিবার এই ধরনের দাবি তুলছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কোনও শহিদ সেন জওয়ানের ক্ষতিপূরণের টাকা বা পেনশনের টাকায় অধিকার তাঁর স্ত্রীর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের ‘কীর্তি চক্র’ সম্মান নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে সিয়াচেনের (Siachen) এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছিলেন অংশুমান (Anshuman Singh)। অনেকের প্রাণ বাঁচালেও সিয়াচেনে শহিদ হন তিনি। তার পরে গত ৫ জুলাই অংশুমানকে কীর্তি চক্র সম্মানে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সম্মান নিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির ছিলেন প্রয়াত অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি এবং মা মঞ্জু। কিন্তু রাষ্ট্রপতির থেকে পাওয়া এই সম্মান নিজের বাপের বাড়িতে নিয়ে চলে গিয়েছেন স্মৃতি, এমনটাই অভিযোগ এনেছেন অংশুমানের বাবা।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ছেলের সরকারি নথিপত্রের সমস্ত জায়গায় ঠিকানা বদলে দিয়েছে তাঁর পুত্রবধূ। সমস্ত ক্ষেত্রে নিজের বাপের বাড়ির ঠিকানা লিখেছেন যেন তাঁর সঙ্গেই সরাসরি যোগাযোগ করে সেনা (Indian Army) কর্তৃপক্ষ। এমনকি অংশুমানের সমস্ত ছবি এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও হাতিয়ে নিয়েছেন স্মৃতি। অংশুমানের মায়ের কথায়, “রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে আসার সময় সেনা আধিকারিকদের অনুরোধে একবার কীর্তি চক্রটা ছুঁয়ে ছবি তুলেছিলাম। তার পরেই ওই মেডেল নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছ স্মৃতি।” ক্যাপ্টেন অংশুমানের কীর্তি চক্র নিয়ে এই বিতর্কের পরই সেনায় পেনশন আইনে বদলের দাবি উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.