সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় চন্দ্রযানের লঞ্চপ্যাড তৈরি করেছিলেন। সেই টেকনিশিয়ান, দীপককুমার উপরারিয়া আজ রাঁচির রাস্তায় ইডলি বেচছেন। এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছিল। যা বিভ্রান্তিকর বলেই জানিয়ে দিল সরকারি সংবাদসংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তৃতীয় চন্দ্রযানের সফল অবতরণে ভারতের মাথায় উঠেছে বিশ্বসেরার মুকুট। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইসরোর সমস্ত বিজ্ঞানী এবং চন্দ্রযানের লঞ্চ-প্যাড তৈরির নেপথ্যে থাকা সমস্ত কারিগরদের। খবরে দাবি করা হয়, এঁদেরই একজন দীপককুমার উপরারিয়া। হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেডে (HEC) কর্মরত একজন টেকনিশিয়ান। শ্রীহরিকোটার যে লঞ্চপ্যাড থেকে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়েছিল তৃতীয় চন্দ্রযান, তার ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন দীপক। কিন্তু, দীপক-সহ এইচইসি-র প্রায় ২,৮০০ জন কর্মচারী টানা ১৮ মাস ধরে বেতন পাননি। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে লোন নিলেও তার অঙ্ক দিন দিন বাড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে স্ত্রীর গহনা বেচে কিছুদিন সংসার চালান দীপক। তার পরও বেতন না মেলায়, ইডলির দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
দীপকের প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে তিনি বলেছেন, ‘‘আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার করে চলছিল প্রথমে। কিন্তু ঋণের অঙ্ক বাড়তে থাকে। ওরা আর টাকা দিতে রাজি হয় না। তার পর স্ত্রীর গয়না বেচেও দিনকয়েক চলেছিল। কিন্তু একটা সময়ে বুঝতে পারলাম, কিছু না করলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেতে পেয়ে মরতে হবে। স্ত্রী ভাল ইডলি বানাতে পারেন। তাই ওঁর সাহায্য নিয়ে দোকান খুলে ফেললাম। সারা দিনের শেষে যে ৫০-১০০ টাকা লাভ হয়, তা দিয়েই আমাদের চারজনের জীবন চলছে।’’
‘X’ সাইটে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ফ্যাক্ট চেক প্রোফাইল থেকে এই খবরকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, চন্দ্রযানের লঞ্চ-প্যাড তৈরির নেপথ্যে দীপককুমার নেই। এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কর্তা আবার কাঞ্চন গুপ্ত আবার জানিয়েছেন, হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইসরোর কিছু কাজ করেছে। কিন্তু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.