বিচারপতি যশবন্ত বর্মা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নগদকাণ্ডে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বদলিতে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিচারপতি বর্মাকে নিয়ে নিজেদের সুপারিশপত্র কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছিল কলেজিয়াম। তাঁর ভিত্তিতেই শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। কেন্দ্রের অনুমোদনের ফলে এবার দিল্লি হাই কোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে সরানো হবে বিচারপতি বর্মাকে। এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই এই বদলির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, দোলের ছুটি চলাকালীন বিচারপতি বর্মার বাড়িতে আগুন লাগে। তখনই তাঁর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ পান দমকল কর্মীরা। এরপর বিচারপতির বাড়ির কাছে রাস্তা থেকেও পাঁচশো টাকার পোড়া নোট উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত ওই অর্থের উৎস জানা যায়নি। এই ঘটনায় হইচই শুরু হওয়ার পর ২০ ও ২৪ মার্চ দুটি আলাদা বৈঠকের বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। যদিও বেঁকে বসে এলাহাবাদ হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। এলাহাবাদ হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনিল তিওয়ারি বলেন, বিচারপতি বর্মাকে কোনও আদালতেই বদলি করা উচিত হবে না।
বিচারপতি বর্মাকে সরাসরি নির্বাসন এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্তের দাবি ওঠে। বিচারপতির বদলির বিরুদ্ধে চিঠি লিখে সরব হয়েছিলেন দেশের ছয় রাজ্যের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের দাবি ছিল, বদলি নয়, বিচারপতি বর্মাকে সব কাজ থেকে সরাতে হবে। ওই বিচারপতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কেন্দ্রকে নিজেদের সুপারিশ পাঠায়। ফলে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের উপর ছিল, বিচারপতি বর্মাকে শাস্তিস্বরূপ এলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলি করা হবে, নাকি তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হবে। এরপর শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে তাঁর বদলির পক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস কমিটি পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। যদি ওই কমিটি মনে করে কোথাও বেনিয়ম হয়েছে, তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। এখনই এ নিয়ে ভাবার সময় আসেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.