সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএনএ টেকনোলজি, ইউএপিএ সংশোধনী-সহ সোমবার কিছুটা নজিরবিহীনভাবে লোকসভায় প্রায় ৮টি বিল পেশ করল সরকার। আর অধিকাংশ বিলেরই বিরোধিতায় সরব হল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ, আইনের মাধ্যমে আমজনতার উপর নজরদারি চালাতে চাইছে সরকার। পাশাপাশি ‘বিরোধী স্বর’ চাপা দেওয়াই সরকারের উদ্দেশ্য বলেও অভিযোগ করেন বিরোধীরা। যদিও সরকারের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসদমনের জন্যই বিলগুলি আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ব্রহ্মসের আওতায় ইসলামাবাদ, ভারতীয় ক্রুজ মিসাইলের আতঙ্কে পাকিস্তান]
সোমবার, প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ডিএনএ প্রযুক্তি বিলটি লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি জানান, ধর্ষণ, খুন, মানবপাচারে অভিযুক্ত, নিখোঁজ বা মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে। বিলটির সপক্ষে তাঁর যুক্তি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় যেখানে প্রচুর লোকের মৃত্যু ঘটে, সেখানে তাদের পরিচয় জানতে ডিএনএ-র নমুনা কাজে লাগবে। তথ্য জমা থাকবে জাতীয় ও আঞ্চলিক তথ্য ব্যাংকে। এই বিলের বিরোধিতাই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, সন্দেহভাজন মানেই অপরাধী নয়, এটা সরকারকে বুঝতে হবে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের ডিএনএ তথ্য কীভাবে নষ্ট করা হবে, তার কোনও উল্লেখ নেই বিলে। যথাযত আইন না থাকায় তথ্য অপব্যবহারের আশঙ্কা থেকে যায় বলে সরব হন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি।
এদিন লোকসভায় ইউএপিএ সংশোধনী বিল পেশ করে সরকার জানায়, আগামিদিনে সংগঠনের পাশাপাশি কোনও ব্যক্তি বিশেষকেও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। আরএসপি সাংসদ এম কে প্রেমচন্দ্রনের মতে, ওই আইন বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারকে ছিনিয়ে নেবে। একই সঙ্গে এই বিলের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই জঙ্গিরা একা কাজ করে। তাদের কথা ভেবেই এই আইনে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে আমজনতার কোনও সমস্যা হবে না। তারপরই আসে এনআইএ সংশোধনী বিল। এটিতে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে মূলত সন্ত্রাসের ঘটনায় ভারতীয়ের মৃত্যু বা দেশীয় সম্পত্তির ক্ষতি হলে তদন্তের অধিকার পাবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। মানবপাচার ও সাইবার অপরাধ রুখতে সংস্থাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছ। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, এনআইএকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাইরে নিয়ে আসার দিশা নেই বিলটিতে। এছাড়াও সোমবার লোকসভায় পেশ করা হয়, মানবাধিকার রক্ষা সংশোধনী বিল, জালিয়ানওয়ালা বাগ রাষ্ট্রীয় স্মারক সংশোধনী বিল ও উপভোক্তা সংরক্ষণ বিল।
[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদ পেতেছে ISI, আধিকারিকদের সতর্ক করল সেনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.