Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুলের পাঠক্রমে গোরক্ষপুর মঠের সাধু-সন্তরা, যোগী সরকারের সিদ্ধান্তে বিতর্ক

পড়ানো হবে মন্দিরের সন্ন্যাসীদের জীবনী৷

Gorakhnath gurus in textbooks, Yogi order chapters
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2018 3:40 pm
  • Updated:September 12, 2023 6:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের স্কুলের পাঠক্রমে এবার ঢুকে গেল গোরক্ষপুর মন্দিরের সাধু-সন্তরা ৷আগামী জুলাইয়ে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে গোরক্ষপুর মঠের সন্ন্যাসীদের জীবনী পড়ানো শুরু করা হবে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের সিলেবাসে৷ প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী ও হিন্দু রাজা-মহারাজাদের জীবনী৷ শনিবারই নতুন সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ ইতিমধ্যেই প্রায় ৮ লক্ষ বই-ও ছাপা হয়ে গিয়েছে৷

[মমতা দিল্লি যেতেই নাটকীয় মোড় রাজনীতিতে, তৃণমূল নেত্রীর পাশে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী]

উত্তরপ্রদেশের স্কুল শিক্ষা অধিকর্তা ভুপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এ বছর সিলেবাসে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে৷ মহান ব্যক্তিত্ব নামের নতুন অধ্যায় যোগ করা হয়েছে৷ যাতে বাবা গোরক্ষনাথ, সাধু গম্ভীরনাথ, বন্ধু সিং, অবন্তি বাঈদের মত মহান ব্যক্তিত্যদের জীবনের নানা গল্প তুলে ধরা হবে৷ ভুপেন্দ্রর দাবি, এই নতুন পাঠক্রম ছাত্রছাত্রীদের চরিত্রগঠনে কাজে লাগবে৷ শুধু তাই নয়, নতুন পাঠ্যবইগুলি ডিজিটাল ফর্ম্যাটেও আনা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে কিউআর কোডের মাধ্যমে মোবাইলেও পড়া যাবে মন্দিরের সন্ন্যাসীদের জীবনী৷ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ তবে, ভবিষ্যতে তাঁর জীবনীও পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি উত্তরপ্রদেশ সরকার৷

Advertisement

[দিল্লিতে নেমেই বাজপেয়ীকে দেখতে এইমসে মমতা, কথা চিকিৎসকদের সঙ্গে]

কদিন আগে মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গল্প পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল৷ ছত্রপতি শিবাজীর পাশাপাশি স্বচ্ছ্বতা নিয়ে মোদির উদ্যোগকেও পাঠক্রমে অন্তর্ভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারও৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য শুরু থেকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা৷ ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠন নয় এই সিদ্ধান্তকে নেহাতই গৈরিকিকরণের চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করছে বিরোধীদের একাংশ৷ কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অহেতুক ধর্মীয় চরিত্রের আগমন ঘটানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা ছাড়া আর কিছু নয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement