সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে রেল। লাইনচ্যুত হল মালগাড়ির ২৪টি কামরা। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাতনায়। এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। দুর্ঘটনার জেরে বিঘ্নিত হয়েছে মুম্বই-হাওড়া আপ ও সাতনা-রেওয়া লাইনে ট্রেন চলাচল। লাইনচ্যুত কামরাগুলিকে সরানোর কাজ শুরু করেছে রেল। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেললাইন সারাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। সারাইয়ের কাজ শেষ হলেই রেলের ইঞ্জিনিয়াররা লাইন পর্যবেক্ষণ করবেন। তারপরই রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে।
উল্লেখ্য, রেল দুর্ঘটনার যেন বহর লেগেছে। একের পর এক ভয়াবহ রেলদুর্ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সাতনার ঘটনার একদিন আগেই উলটে ছিল আরও একটি মালগাড়ি। বৃহস্পতিবারই ১৩টি ওয়াগান লাইনচ্যুত হয়ে উলটে যায় মালগাড়ি। ঘটানটি ঘটেছিল তামিলনাড়ুর কাড্ডালোর জেলায়। তার আগে ওড়িশার কটকে লাইনচ্যুত হয়ে যায় মালগাড়ির ১৬টি কামরা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের গঙ্গাভরম বন্দর থেকে সার নিয়ে অসমের হাইবারগাঁও যাচ্ছিল মালগাড়িটি। যাওয়ার পথে, কটকের নেরগুন্ডি স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনের ১৬টি বগি।
#SpotVisuals 24 bogies of a goods train derailed in Satna, Railway has started reconstruction of the track #MadhyaPradesh pic.twitter.com/7xzKkKJyyx
— ANI (@ANI) February 9, 2018
ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশেও। লাইনচ্যুত হয়েছিল হাওড়া-জব্বলপুর শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে জব্বলপুর যাওয়ার পথে শোনভদ্রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর আগে ডাম্পারে ধাক্কা খেয়ে লাইনচ্যুত হয় উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিগামী কৈফিয়ত এক্সপ্রেসের ১০টি কামরা। রাজ্যের আউরাইয়া জেলার কাছে ঘটে দুর্ঘটনাটি। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৪ জন। ওই ঘটনার চারদিন আগে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের খাতৌলির কাছে বেলাইন হয়ে যায় কলিঙ্গ-উৎকল এক্সপ্রেসের ১৪টি কামরা। প্রাণ হারান অন্তত ২৪ জন। আহত হন প্রায় ১৬০ জন।
একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ভারতীয় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে, রেল বাজেটে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনও ব্যবস্থাই করেনি কেন্দ্র, অভিযোগ সাধারণ মানুষের। গত কয়েকমাসে রেল দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ফের মাল গাড়ির কামরা উলটে যাওয়া সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রেলযাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.