সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির রাজপথে ফের ‘গোলি মারো’ স্লোগান। এবার বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর ‘শান্তি মিছিল’ থেকে এই স্লোগান উঠেছে বলে অভিযোগ। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ দিল্লির যন্তরমন্তর থেকে কননাট প্লেস, জনপথ পর্যন্ত একটি শান্তি মিছিলের আয়োজন করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই মিছিলে হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। আর সেই মিছিল থেকে একের পর এক উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, এদিনই দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে এই স্লোগান দেওয়ায় ছয় যুবককে আটক করা হয়। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুবার এই স্লোগান ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজধানীতে।
পাঁচদিনের হিংসার পর সবেমাত্র শান্ত হচ্ছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবেল রতন লাল, আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মাদের মতোন ব্যক্তিত্বরা। এঁদের ছবি নিয়ে শনিবার মিছিল বেরিয়েছিল। মিছিল থেকে একের পর উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। কখনও বলা হল, ‘দেশ কে গদ্দার কো, গোলি মারে….’, আবার কখনও বলা হল, ‘কিসিকো মাত মাফ কর, জিহাদি কো সাফ কর।’ আবার কখনও বলেছে, ‘অঙ্কিত শর্মা কি ইয়ে বলিদান, ইয়াদ রাখেগা হিন্দুস্তান।’
তবে মিছিলের অনুমতি পুলিশ দেয়নি বলেই খবর। এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির ডিসিপি ইয়াস সিংঘল জানান, “কননাট প্লেস বা জনপথ পর্যন্ত এই মিছিল করার অনুমতি ছিল না। শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল। কাউকে আটক করা হয়নি। কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।” তবে পুলিশের এহেন বয়ানে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই এই স্লোগান নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রদের এই স্লোগানের জেরে দিল্লিতে অশান্তি ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার নেপথ্যেও এ ধরণের মন্তব্য রয়েছে বলে অভিযোগ। তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।এবারও প্রকাশ্যে একের পর এক উসকানিমূলক স্লোগান দিলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরই আমজনতার প্রশ্ন, এধরণের মন্তব্যের জেরে যদি নতুন করে অশান্তি ছড়ায়, তার দায় কে নেবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.