সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেদারনাথ মন্দিরের দেওয়াল সোনা দিয়ে মোড়ার কাজ শেষ হল বুধবার। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ৫৫০টি সোনার পাত ব্যবহার করা হয়েছে গোটা মন্দিরটি সোনার চাদরে মুড়ে ফেলতে। এর আগে পাহাড় চূড়ার এই মন্দিরের গর্ভগৃহের চার দেওয়ালে রুপোর প্রলেপ দেওয়া ছিল। সেটাই তুলে দিয়ে তিন দিনের মধ্যে সোনা দিয়ে মোড়া হল মন্দির প্রাঙ্গণ। কেদারের এই নতুন রূপে যেন চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে ভক্ত-পুণ্যার্থীদের। মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করছেন বহু মানুষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দির ট্রাস্টের কাছে কেদারনাথ মন্দিরটি সোনা দিয়ে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। ট্রাস্ট বৈঠক করে তাতে সিলমোহর দেয়। তার পর সুপারিশ পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের কাছে। উত্তরাখণ্ড সরকার অনুমতি দেয় তাতে। গোটা কাজের আর্থিক দায়িত্বও নিয়েছেন মুম্বইয়ের ওই ব্যবসায়ী। এদিকে, বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দিরের সভাপতি, অজয়েন্দ্র অজয় জানিয়েছেন, ‘‘মোট ১৯ জন কারিগর তিন দিনের মধ্যে মন্দিরের সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আইআইটি রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি ছয় সদস্যের দল এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। সোনার পাতগুলি ১৮টি খচ্চরের মাধ্যমে মন্দিরে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, ৮ ঘণ্টার পথ এবার পেরনো যাবে মাত্র ২৫ মিনিটে। সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের (Kedarnath) মধ্যে এবার তৈরি হবে রোপওয়ে (Ropeway)। তার ফলে রাতারাতি ওই দূরত্ব এসে যাবে হাতের মুঠোয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) স্বপ্নের প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’। কেবল তাই নয়, রাম্বাদা থেকে গরুরচট্টির মধ্যেও তৈরি হবে ট্রেক রুট। নিঃসন্দেহে এই খবরে অভিযাত্রী থেকে সাধারণ পর্যটক, সকলেরই মুখে হাসি ফুটবে।
উল্লেখ্য, সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ১৮ কিমি। পায়ে হেঁটে ওই দুর্গম পেরোতে লেগে যায় ৮ ঘণ্টা। অন্য কোনও উপায় নেই। কেননা, ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত নয়। অথচ প্রতি বছরই লাফিয়ে বাড়ছে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা। সেদিকে তাকিয়ে থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকার আগেই রোপওয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের ‘ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’কে। জুনে মিলেছিল সম্মতি। বিষয়টি এরপর ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’-এর কাছে যায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় বোর্ডের সম্মতি পেতেই আর কোনও বাধা রইল না। শিগগিরি ওই রোপওয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.