ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : সমস্যার সুরাহার নিদান। পুরুষ ভক্তদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে যৌন সঙ্গম। এই অভিযোগে এক স্বঘোষিত গুরুকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম আসিফ নুরি (৩৮)। স্থানীয় মারাঠাওয়াড়ার দরগা রোডে লাগোয়া একটি মাদ্রাসাতেই থাকে অভিযুক্ত। সোমবার গভীর রাতে মাদ্রাসা এলাকার পাশের জেলার এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পার্বণীতে।
পার্বণীর পুলিশ সুপার দিলীপ জালাকে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন বয়সী পুরুষের তরফে অভিযোগ জমা পড়ছিল। সমস্ত অভিযোগের তির স্বঘোষিত গুরু আসিফ নুরির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মাদ্রাসাতেই বসে আসিফ। সেখান থেকেই পারিবারিক অশান্তি, সম্পর্ক ভাঙন রোধের টোটকা বলে দেয় শিষ্যদের। দৈনন্দিন নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষ আসিফকেই বৈতরণী পার হওয়ার উৎস মনে করেন। সেই মতো যার যা সমস্যা তা নিয়ে ওই স্বঘোষিত গুরুর কাছে আসতে শুরু করেন। এরই সুযোগ নেয় আসিফ নুরি। সুকৌশলে প্রথমে সমস্যা জর্জরিত মানুষগুলিকে ভয় পাইয়ে দেয়। আতঙ্কিত সাহায্যপ্রার্থীরা যখন ভাবতে থাকেন আসিফ নুরি ছাড়া তাঁদের আর কোনও গতি নেই, তখনই ফকিরের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে সে। সাফ জানিয়ে দেয় তার সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলেই সমস্যার সুরাহা হবে। এহেন নিদানে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন ভক্তরা। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রায় বাধ্য হয়েই যৌন সংসর্গে লিপ্ত হতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল এসব কুকর্ম। সম্প্রতি এসব ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ফকিরের গুণকীর্তন চাউর হয়ে যায়। এতদিন দৈব শক্তির ভয়ে যারা চুপ করেছিলেন তাঁরাও মুখ খোলেন। গত শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন অনেকে। তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার রাতে পার্বণী থেকে আসিফ নুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে, নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য স্থানীয় পার্বণী ও নন্দেদ জেলার সদ্য বিবাহিত যুবকদেরই লক্ষ্যবস্তু করত আসিফ নুরি। নিজের দৈব ক্ষমতা দেখানোর নাম করে তাঁদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হত ওই স্বঘোষিত গুরু। প্রথমে সুরাহা চাইতে আসা যুবকদের বোঝানো হত। নানাভাবে ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাবু করে একটা নির্জন ঘরে নিয়ে যাওয়া হত। সেখানেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চলত যৌন সঙ্গম। মাদ্রাসায় মধ্যে এহেন নক্ক্যারজনক কাজ করার জন্য ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি ৩৭৭ ধারাতেও মামলা করেছে পুলিশ। খুব শিগগির ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.