সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এককথায় নজিরবিহীন। মধ্যরাত বললেও ভুল হবে, একেবারে গভীর রাতে শপথ নিলেন গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। রাত ২টোর সময় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা। তাঁর পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দুই জোট সঙ্গীর নেতা বিজয় সরদেশাই, এবং সুদিন ধাবলিকর। ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মোট ১১ জন বিধায়ক। এদিকে, একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও সরকার গড়ার ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ ফুঁসছে কংগ্রেস।
মনোহর পারিকরের মৃত্যুর পর থেকেই নজিরবিহীন রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয় গোয়ায়। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, তা নিয়ে যেমন বিজেপি শিবিরে আলোচনা শুরু হয়। বলা বাহুল্য, পারিকরের উত্তরসূরী খুঁজে পেতে বেশ বেগই পেতে হয় গেরুয়া শিবিরের। কারণ, শাসক শিবিরের অন্তত এক চতুর্থাংশ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। যাঁদের মধ্যে জোরদার দাবি জানান মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সুদিন ধাবলিকর এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির বিজয় সরদেশাই। যদিও বিজেপি নিজেদের শিবির থেকেই মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে অনড় ছিল। শেষপর্যন্ত দুই জোটসঙ্গী থেকে দুজন নেতাকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাবে দেওয়া হয়। তারপরই প্রমোদ সাওয়ান্তের নামে সিলমোহর দেন জোটসঙ্গীরা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, রাত ১১ টায় হবে শপথগ্রহণ। কিন্তু, টানাপোড়েনের জেরে তা গড়ায় রাত ২টো পর্যন্ত৷ ২টো নাগাদ রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ। দায়িত্ব নেওয়ার পর গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা একটা গুরু দায়িত্ব। আমি জানি, আমি পারিকরজির মতো কাজ করতে পারব না। তবে, সাধ্যমতো চেষ্টা করব তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার।”
অন্যদিকে, গোয়ার এমন সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসও রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবিতে অনড় ছিল। গোয়ায় একক বৃহত্তম দল কংগ্রেস। হাত শিবিরের দুই বিধায়ক দল ছাড়লেও আপাতত তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১৪। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এনসিপির হাতে রয়েছে ১ জন বিধায়ক। গত দু’মাসে পারিকর-সহ বিজেপির দুই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত তাদের হাতে রয়েছে ১২ জন বিধায়ক। জোটসঙ্গী এমজিপি এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির বিধায়ক সংখ্যা ৩ টি করে। অন্যদিকে, ৩ জন নির্দল বিধায়কও সমর্থন করছে বিজেপিকে। তাই, বিজেপির কাছে ২১ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। একক বৃহত্তম দল হিসেবে কংগ্রেস সরকার গড়ার দাবি জানালেও, তাদের সেই দাবি নাকচ করে দেন রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে কংগ্রেস। গোয়া কংগ্রেস নেতা দীনেশ কাওথানকর অভিযোগ করেছেন, রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। এটা ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির কাছে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণ করার দাবিও জানিয়েছে।
Goa: Pramod Sawant takes oath as the new Chief Minister of the state, at the Raj Bhavan. pic.twitter.com/bFq1j1B80t
— ANI (@ANI) March 18, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.