ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েক বছর ধরেই অমরনাথ তাঁর স্বমহিমায় ভক্তদের দেখা দিচ্ছেন না। যে সুউচ্চ বরফলিঙ্গের দর্শনে দুর্গম পথ পাড়ি দিতেন ভক্তরা, বিগত কয়েক বছরে তার দর্শন মেলেনি। উষ্ণায়নের জেরে খর্ব থেকে খর্বাকৃতি হচ্ছিল অমরনাথের বরফলিঙ্গ।
এই বছরটাও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং, আরও বিষাদের। কেন না, বিগত বছরগুলোর হিসেবে এই বছরে অমরনাথের তুষারলিঙ্গ ধারণ করেছে সব চেয়ে খর্বাকৃতি রূপ। এ বছরে অমরনাথের তুষারলিঙ্গের উচ্চতা মাত্র ১০ ফুট। গত বছরেও যা ছিল ১৮ ফুট।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে ২ জুলাই থেকে। সাধারণত শ্রাবণী পূর্ণিমা থেকে এই যাত্রা শুরু হয়। তীব্র শৈত্য এবং বরফে মোড়া দুর্গম পথের জন্য বছরের খুব অল্প সমযেই খোলা থাকে অমরনাথের যাত্রাপথ। সেই পথ পেরিয়ে এবারও শিবস্তোত্রে গমগম করবে অমরনাথ গুহা।
কিন্তু, খর্বাকৃতি শিবমহিমায় কি তুষ্ট হবে ভক্তদের মন?
না কি পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত তাঁদের শঙ্কাতুর করে রাখবে?
প্রবাদ বলে, দেবী পার্বতীকে সৃষ্টিরহস্য ব্যাখ্যা করার জন্য হিমালয়ের নির্জন স্থানের এই গুহা বেছে নিয়েছিলেন মহাদেব। শর্ত ছিল, দেবীকে মন দিয়ে শুনতে হবে দেবাদিদেবের প্রত্যেকটি কথা। তিনি যে শুনছেন, তার প্রমাণ হিসেবে একটি করে প্রসঙ্গ শেষ হওয়ার পরে হুম বলতে হবে।
পার্বতী কিন্তু ঘুমিয়ে পড়েন। শিব সৃষ্টিরহস্য ব্যাখ্যা করেই চলেন এবং গুহায় ঢুকে পড়া একটি পায়রা হুম বলে যায়। ব্যাখ্যা সমাপ্ত করে শিব ব্যাপারটি বুঝতে পারেন এবং গুহায় সমাহিত হন তুষারলিঙ্গ রূপে। বলেন, যে দিন এই তুষারলিঙ্গ গলে যাবে, পৃথিবীও সেই দিন ধ্বংস হবে।
তাঁর কথাই কি এভাবে মিলে যেতে বসেছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.