সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আদালতে মনুস্মৃতির (Manusmriti) উল্লেখ! খোদ বিচারপতি পর্যবেক্ষণের সময় টানলেন মনুস্মৃতির প্রসঙ্গ। ১৭ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের মামলায় বিচারপতি বললেন, “আগেকার দিনে সতেরোর নিচেও মা হতেন মেয়েরা।”
নির্যাতিতা মেয়ের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে গুজরাট হাই কোর্টের (Gujarat High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক অভিভাবক। ওই ব্যক্তির মেয়ে ধর্ষণের শিকার। ১৬ বছর ১১ মাস বয়সী ওই নাবালিকার গর্ভে রয়েছে ৭ মাসের ভ্রুণ। নিয়ম অনুযায়ী ভ্রুণের বয়স ২৪ মাসের বেশি হলে গর্ভপাতের জন্য আদালতের বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেকারণেই ধর্ষণের শিকার মেয়ের গর্ভপাতের জন্য গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে উলটে আদালতে তিরস্কার শুনতে হলে তাঁদের।
নাবালিকার বাবা-মায়ের যুক্তি ছিল, মেয়ের বয়স সতেরোরও কম। এই বয়সে মা হওয়া নিয়ে তাঁরা চিন্তায়। গুজরাট হাই কোর্টের বিচারপতি সমীর দাভে (Samir Dave) সেই যুক্তির প্রেক্ষিতে বলেন,”সমস্যাটা হল আমরা একুশ শতকে বাস করছি। নিজের মা-ঠাকুমাকে জিজ্ঞেস করুন। তাঁদের বিয়ের বয়স খুব বেশি ছিল ১৪-১৫ বছর। তাঁরা ১৭ বছরের আগেই মা হতেন। তাছাড়া মেয়েরা তো ছেলেদের থেকে আগে পরিণত হয়ে যায়। জানি আপনি হয়তো পড়বেন না। কিন্তু একবার অন্তত মনুস্মৃতি পড়ে নিন।”
বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, মা এবং শিশু দু’জনের স্বাস্থ্য যদি ভাল থাকে, তাহলে হয়তো গর্ভপাতের অনুমতি তিনি দেবেন না। কিন্তু আসল বিতর্ক বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণে। আইনজীবী মহলের একাংশ বলছে, আদালতের পর্যবেক্ষণে মনুস্মৃতির উল্লেখ বেশ দুর্ভাগ্যজনক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.