সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যার (Suicide) ঘটনা নতুন না, কিন্তু যে ভাষায় এক স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা সুইসাইড নোটে নিজের যন্ত্রণাবিদ্ধ মনের কথা ব্যক্ত করেছে, তাতে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে চেন্নাই (Chennai) শহরে। চরম পদক্ষেপ করার আগে সুইসাইড নোটে যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়া ওই নাবালিকা লিখেছে, “মেয়ের শুধু মাতৃগর্ভ আর কবরেই সুরক্ষিত”।তার কথায়, “স্কুলেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা, শিক্ষকদেরও বিশ্বাস করা যায় না।” ওই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বছর একুশের কলেজ পড়ুয়া এক যুবককে। যদিও পুলিশের ধারনা আরও কেউ কেউ নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে থাকতে পারে।
শনিবার নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় স্কুল পড়ুয়া। নাবালিকার মা বাজার থেকে ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত স্কুল পড়ুয়ার সুইসাইড নোটে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা ও বিষাদের অভিজ্ঞতার কথা থাকলেও তার পরিবার সে কথা জানত না বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশের দাবি, ধৃত যুবক ইতিমধ্যে অপরাধ স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। গত দুই সপ্তাহ ধরে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে সে, শারীরিক নির্যাতনও চালায়। এছাড়াও যুবক নাবালিকাকে আপত্তিজনক মেসেজ ও ছবি পাঠাত। যদিও অভিযুক্ত যুবক ও নাবালিকার মধ্যে তার আগের আট মাস ধরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।
এদিকে মৃত নাবালিকা যে ভাষায় সুইসাইড নোট লিখেছে তা নিয়ে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। নাবালিকা লিখেছে, “মেয়ের শুধু মাতৃগর্ভ আর কবরে সুরক্ষিত। স্কুলও সুরক্ষিত জায়গা নয়। শিক্ষকদেরও বিশ্বাস করা যায় না।” সুইসাইড নোটে নাবালিকা আরও জানিয়েছে, গত বেশ কিছুদিন ধরে সে মন দিয়ে পড়াশুনা করতে পারত না, ঘুমোতেও পারত না, কারণ তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে এই দৃশ্য সে স্বপ্নেও দেখত। অন্তিম পত্রে নাবালিকা আরও লিখেছে, “ছোট থেকেই বাবা-মায়েদের শেখানো উচিত মেয়েদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয়।” চিঠির শেষে নাবালিকা লেখে, “যৌন নির্যাতন বন্ধ হোক”, “আমি যেন বিচার পাই”।
সুইসাইড নোটের বক্তব্যের সূত্রে পুলিশ মনে করছে, ধৃত যুবক ছাড়াও আরও কেউ কেউ নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে থাকতে পারে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.