Advertisement
Advertisement

Breaking News

ছত্তিশগড়

লকডাউনের মধ্যেই টানা তিনদিন পথ হাঁটা, বাড়ি পৌঁছনোর খানিক আগেই মৃত্যু কিশোরীর

করোনা পরীক্ষাও করা হয় তার।

Girl walked 3 days amid lockdown, died 14km away from home
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 21, 2020 12:16 pm
  • Updated:April 21, 2020 12:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট ছোট্ট পায়ে পথচলা শুরু করেছিল ১২ বছরের কিশোরী। লক্ষ্যও ছিল স্থির। লকডাউনের মধ্যে যেভাবেই হোক বাড়ি পৌঁছতে হবে। সে জানে, পরিবারের হাতে সে টাকা না তুলে দিতে পারলে, সকলকে অভুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু ভাগ্যের কী করুণ পরিণতি। টানা তিনদিন হাঁটার পর তীরে এসে ডুবল তরী। বাড়ি ফেরা আর হল না। গ্রামে পৌঁছনোর খানিক আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী।

ছত্তিশগড়ের বীজাপুর জেলার এক গ্রামের বাসিন্দা জামলো মড়কম। তেলেঙ্গানার এক গ্রামে লঙ্কা খেতের শ্রমিক। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকায় পড়ে যায় সেও। বাড়ি ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায় তার সামনে। কিন্তু বাড়িতে যে ফিরতেই হবে। তাই জামলো ও তার সঙ্গীরা ঠিক করে, হেঁটেই ছত্তিশগড় পৌঁছবে। সেই মতো ১১ জন মিলে গত ১৫ এপ্রিল হাঁটা শুরু করে। পেরতে হবে ১৫০ কিলোমিটার পথ। পাছে পুলিশে আটকে দেয়, তাই জঙ্গলের রাস্তা বেছে নেয় তারা। নাওয়া-খাওয়া, ঘুম ভুলে দীর্ঘ তিনদিন হেঁটে গন্তব্যের অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে যায় জামলো। কিন্তু শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। অসহ্য পেটে যন্ত্রণায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখানেই সব শেষ। বাড়ির ফেরার ইচ্ছে আর পূরণ হল না কিশোরীর। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়ি এল তার মৃতদেহ।

Advertisement

girl

[আরও পড়ুন: ভারতে কতদিনে তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক? জানিয়ে দিলেন গবেষণা বিভাগের কর্তা]

চিকিৎসকরা জানান, ডিহাইড্রেশনের কারণেই মারা গিয়েছে কিশোরী। করোনা পরীক্ষাও করা হয় তার। যদিও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জেলা মেডিক্যাল আধিকারিক বিআর পুজারী বলেন, “শরীরে জলের অভাবে ভারসাম্যতা হারিয়েছিল।” জামলোর সঙ্গীরাও জানায়, ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করছিল না সে। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কিশোরীর বাবা অন্ডরাম মড়কম। জানান, মাস দুয়েক আগে খেতে কাজের জন্য তেলেঙ্গানা যায় জামলো। পেট ব্যথা আর বমিভাব নিয়ে তিনদিন ধরে ও হাঁটছিল।

লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আজও বাড়ি ফেরার প্রহর গুণছেন তাঁরা। আর এই লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে গিয়ে করুণ পরিণতি হল জামলোর। রাজ্য সরকারের তরফে মৃত কিশোরীর পরিবারকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে মদের দোকান খোলা যেতেই পারে, মত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement