সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপদের সময় যার নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা সেই বাবাই সংহারকের ভূমিকায়। তা না হলে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ কেউ করতে পারে? তাও একবার নয়, বারাবার। প্রায় নিয়মিত নিজের নাবালিকা মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে ধর্ষণ করত এই বাবা। উত্তরপ্রদেশের মথুরার এই ঘটনায় রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ সভ্য সমাজের।
বাবার নিয়মিত ধর্ষণের ফল এখনও ভোগ করে চলেছে নাবালিকা মেয়ে। তাঁর গর্ভে বাবার ঔরসজাত সন্তান এখনও বড় হচ্ছে। কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মা চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। নির্যাতিতা মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ আগস্ট ধীরজ কুমার নামের ওই ধর্ষক বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। দিন কয়েক আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছিল না নির্যাতিতার। কারণ তাঁর গর্ভে তখনও বড় হচ্ছিল তাঁর বাবার সন্তান। অবশেষে সেই সংকট থেকে মুক্তি পেলেন নাবালিকা। গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত।
মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গঠন করা হয়েছিল বিশেষ পকসো আদালতের। গতকাল পকসো আদালত ওই নাবালিকাকে তাঁর ১৩ সপ্তাহের ভ্রুণের গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে বিশেষ আদালতের বিচারপতি ওই নাবালিকাকে অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব তাঁর গর্ভপাত করানোর। সেই সঙ্গে গর্ভস্থ ভ্রুণটি সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তীকালে তাঁর ডিএনএ পরীক্ষা করে ধর্ষককে শাস্তি দেওয়া যায়। এছাড়াও নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়াও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.