ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরীকে গণধর্ষণের পর মুণ্ডহীন দেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তার কাকা এবং দুই খুড়তুতো দাদার বিরুদ্ধে৷ নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী মধ্যপ্রদেশের সাগর৷ পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ অধরা আরও এক৷
অন্যান্য দিনের মতো গত ১৩ মার্চও স্কুলে গিয়েছিল বছর বারোর ওই কিশোরী৷ সেদিন আর বাড়ি ফিরে আসেনি সে৷ সন্ধে গড়িয়ে রাত বাড়লেও, তাকে না পেয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি৷ পরেরদিন গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় কিশোরীর মুন্ডুহীন রক্তাক্ত দেহ৷ ঘটনাস্থলে কিশোরীর রক্ত মাখা পোশাকও পাওয়া যায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ওই কিশোরীর কাকা, কাকিমা এবং দুই খুড়তুতো দাদা৷ কাকা এবং খুড়তুতো দাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদেই মেলে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় তার কাকা৷ সেখানে কাকা এবং দুই দাদা মিলে ধর্ষণ করে ওই স্কুল ছাত্রীকে৷ গোটা ঘটনাটি তার মা, বাবাকে জানাতেও বারণ করে দেওয়া হয় তাকে৷ প্রাথমিকভাবে ভয় পেলেও, অত্যাচারের যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে থাকে কিশোরী৷ অভিযোগ, এই সময় কিশোরীর কাকিমা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মাথা কেটে দেয়৷ বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ফেলে দিয়ে আসা হয় কিশোরীর মুণ্ডহীন দেহ৷
খুঁজতে খুঁজতে কিশোরীর দেহ নজরে আসে স্থানীয়দের৷ এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তে মিলেছে ধর্ষণের প্রমাণ৷ এই ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর কাকা এবং এক খুড়তুতো দাদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তবে বাকি আরেক দাদা এখনও অধরা৷ কিন্তু কেন নিজের আত্মীয়রাই কিশোরীর উপর এমন নৃশংস অত্যাচার করল, তা এখনও জানা যায়নি৷ পুলিশ সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷ ধৃতদের জেরা করে সমস্ত ঘটনার নেপথ্য কথা জানার চেষ্টায় পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.