সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটু রাত করে ফিরতে ফিরতে অনেকেরই চোখে পড়েছে সে মহিলাকে৷ পরনে লাল শাড়ি৷ নির্জন এক বাড়ির ছাদে তিনি একা দাঁড়িয়ে থাকেন৷ কখনও কখনও আবার তাঁর সঙ্গে দেখা যায় এক পুরুষকেও৷ ছাদের খোলা হাওয়া গায়ে লাগিয়ে তিনিও ঘোরাঘুরি করেন৷ কিন্তু হাওয়া গায়ে লাগে কী? লাগবেই বা কী করে? শরীরই যাদের নেই, তাদের গায়ে হাওয়া লাগবে কী করে! হ্যাঁ, যাদের কথা হচ্ছে তারা অশরীরী৷ মিরাটের জিপি ব্লকের আজও দেখা যায় এ দৃশ্য৷
মেট্রোপলিটন শহর মিরাটে লোকবসতির অভাব নেই! হালফিলের সমস্ত আধুনিক পরিষেবাকে আপন করে মিরাট এখন ট্রেন্ডি শহর৷
কিন্তু এই মিরাটেই রয়েছে ভৌতিক ইতিহাস৷ মিরাটকে কেন্দ্র করে লোকের মুখে ঘুরে বেড়ায় বহু ভৌতিক কাহিনী৷ এমনই একটি ভৌতিক কাহিনী রয়েছে মিরাটের জিপি ব্লককে কেন্দ্র করে৷ এ গল্পের কেন্দ্র যে পরিত্যক্ত বাড়িকে কেন্দ্র করে সেটি বহু প্রাচীন৷ বাড়ির বয়স যেমন তেমনই পুরনো এ গল্প. ১৯৩০ সালের পর থেকে এ বাড়িতে আর কেউ থাকেনি বলেই কোনও কোনও ইতিহাসবিদের ধারণা. আরও খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, এ বাড়িতে সম্ভবত কখনও একটি আর্মি ক্যাম্প ছিল৷ কিন্তু কী করে তা ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হল তা কেউ জানেন না৷ এই রহস্যময়ী নারীই বা কে, আর্মি ক্যাম্পে তিনি কী করছিলেন তা পুরোপুরি অজ্ঞাত৷
কেউ কেউ আবার ভূতের গল্পে বিশ্বাস করেন না৷ তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই অবিশ্বাসের ঝোঁক বেশি. তবে এ বাড়িতে গিয়ে তাক লেগে গিয়েছে অনেকের৷ রহস্যময়ীকে ছাড়া দেখা গিয়েছে আরও অনেককে৷ কেউ কেউ রাতে এ বাড়িতে গিয়ে ফিরে এসে বলেছেন, চার-পাঁচজন মিলে নাকি মদের পার্টি করছে৷ কোনও কোনও স্কুলছাত্র আবার এ বাড়ির ভৌতিক ইতিহাসের সত্যতা পরীক্ষা করতে গিয়ে অদ্ভুত আওয়াজ শুনে ভয়ে দাঁতকপাটি খেয়েছে৷
আসলে যা রটে তা কিছু তার কিছু তো বটে৷ সাধারণ মানুষ এ বাড়ি এড়িয়েই চলেন৷ আর ইতিহাসবিদরা খুঁজে চলেছেন কে ওই নারী৷ আর্মি ক্যাম্পের সঙ্গে তাঁর কীইবা সম্পর্ক ছিল৷ কেনই বা তিনি আজও এমন উদাসীন ভাবে ঘুরে বেড়ান৷ ভূতের গল্পের আড়ালে যে ট্রাজিক কাহিনী লুকিয়ে আছে তা ভূতুড়ে নয় বলেই বিশ্বাস তাঁদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.