সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূর থেকে মনে হতে পারে কোনও পাহাড় হয় তো মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ কিন্তু কাছে গেলেই মরীচিকার মতো দেখবেন সবই মিথ্যা৷ আচমকা পাহাড় ভেবে মনে ঠিক যতটা আনন্দ পেয়েছিলেন, সামনে গিয়ে গা গুলিয়েও উঠতে পারে আপনার৷ কারণ দিনের পর দিন জমা হওয়া আবর্জনাই রূপ নিয়েছে পাহাড়ের৷ দুর্গন্ধে অস্থির আশপাশের বাসিন্দারা৷ আপনি মিনিটখানেকও সাহস করে সেখানে দাঁড়াতে পারবেন না৷ অথচ কারও কোনও নজর নেই৷ আশঙ্কা খুব শীঘ্রই তাজমহলের উচ্চতাও হয়তো ছুঁয়ে ফেলবে গাজিপুরের আবর্জনার স্তূপ৷
পূর্ব দিল্লির ইঞ্জিনিয়ার অরুণ কুমার বলেন, ‘‘উচ্চতার নিরিখে গাজিপুরের ধাপা বর্তমানে ৬৫ মিটার বা ২১৩ ফুট উঁচু হয়ে গিয়েছে৷ যা বর্তমানে কুতুব মিনারের উচ্চতাকে স্পর্শ করে ফেলেছে৷ প্রতিদিন প্রায় দুহাজার টন আবর্জনা ওই জায়গায় ফেলা হয়৷ তাই প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে বাড়ছে আবর্জনার স্তূপ৷ প্রতি বছর তা ১০মিটার করে উঁচু হচ্ছে৷ তাজমহলের উচ্চতা ৭৩ মিটার৷ যদি এই হারে বাড়তে থাকে তবে আগামী বছরেই তাজমহলের উচ্চতাও ছাপিয়ে ফেলবে আবর্জনার স্তূপ৷’’ তবে এটাই প্রথমবার নয়৷ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের দাবি, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ধাপা৷ বৃষ্টির জলে ধাপায় আবর্জনার ধসে মৃত্যু হয়েছিল দুজনের৷ সামনেই বর্ষা আসছে৷ আবারও গত বছরের আতঙ্কের স্মৃতি ফিরে আসার আশঙ্কাতেই প্রহর গুনছেন আবর্জনার স্তূপের আশেপাশের বাসিন্দারা৷
১৯৮৪ সাল থেকে গাজিপুরের এই জায়গায় আবর্জনা ফেলা হয়৷ ২০০২ সালে ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে আবর্জনার পরিমাণ৷ আবর্জনা ভরে গেলে, তা আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলাই নিয়ম৷ তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, আবর্জনা নষ্ট করার জন্য কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের৷ পরিবর্তে দিনের পর দিন নিজের মতো করেই আয়তনে বাড়ছে আবর্জনার স্তূপ৷ এলাকা পরিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরাও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.