ওই ঘটনার ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লায়লা থেকে মজনু কিংবা রোমিও থেকে জুলিয়েট! প্রেমের জন্য জীবন বলিদান দিয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে গিয়েছেন। আজও তাঁদের নিয়ে আলোচনা থেকে সিনেমা, সবই চলে রমরমিয়ে। এখনও প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়ির লোকের হেনস্তা ও অত্যাচারের শিকার হওয়া যুবক-যুবতী প্রেমের আইকনদের থেকে সহ্য করার শিক্ষা নেন। আবার মারধরের জন্য ভয়ে সম্পর্কও ত্যাগ করেন অনেকে। কিন্তু, জামাই পছন্দ না হওয়ায় গলায় বেল্ট পরিয়ে কুকুরের ডাক ডাকতে বাধ্য করার মতো ঘটনা মনে হয় আগে কেউ শোনেননি। কিন্তু, নৃশংস এই ঘটনাটিই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
Ghaziabad: In a viral video, some men are seen thrashing another man. Victim Ikramuddin says,”Relatives of my second wife were not happy as we performed marriage in court. They thrashed me&shot video of incident in May 2019. No action taken by police as woman’s brother is a cop”. pic.twitter.com/WpbJblqCjY
— ANI UP (@ANINewsUP) February 23, 2020
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ইক্রামুদ্দিনের সঙ্গে স্থানীয় একটি যুবতীর প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল। মেয়ের বাড়ির লোকের আপত্তি থাকায় তাঁরা আদালতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। তারপর সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, গত বছরের মে মাসে আচমকা ইক্রামুদ্দিনের বাড়ি থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রথমে বেধড়ক মারধর করে। তারপর জোর করে গলায় বেল্ট পরিয়ে কুকুরের ডাক ডাকতে বাধ্য করে। এমনকী পুরো ঘটনাটির ভিডিও তুলে রাখে। পরে আক্রান্ত ইক্রামুদ্দিন স্থানীয় থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মেয়েটির ছোটভাই কনস্টেবল হওয়ার কারণেই কেউ ব্যবস্থা নিতে চাইছে না বলে তাঁর দাবি।
সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। এপ্রসঙ্গে সদর পুলিশ স্টেশনের এক কনস্টেবল প্রভাত কুমার বলেন, ‘আমরা একটি ভিডিও পেয়েছি। তারপরই এই বিষয়ে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করে মামলা করা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.