সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীরব মোদির ঋণখেলাপি কাণ্ডে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এবার বাইরে গেলে যেন নীরবকে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।
[ প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার যোগ্যতা হারিয়েছেন মোদি, তোপ সিদ্দারামাইয়ার ]
মেঘালয় নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত রাহুল। সেই মঞ্চ থেকেই নীরব কাণ্ডে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। বাংলা থেকে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, এই দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। নোট বাতিলের সময় বহু ব্যাংক আধিকারিকের নিয়োগ হয়েছিল। কারা তাঁদের নিয়োগ করেছিলেন? ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে আস্থা উঠে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এবার অন্তত সত্যিটা সামনে আসুক। সুরে সুর মিলিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। তিনিও তোপ দেগে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নানা বিষয়ে হরেক কথা বলছেন। কিন্তু দেশের সঠিক সমস্যা নিয়ে তাঁর মুখে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার যোগ্যতা হারিয়েছেন মোদি। বিরোধিতার এই সুরই চড়িয়ে দিলেন রাহুল।
[ বোফর্সের মতোই ধামাচাপা পড়বে নীরবের কীর্তি, বিস্ফোরক দাবি আইনজীবীর ]
নীরব মোদি এখন ঠিক কোথায় আছেন তা নিয়েও ধন্ধ দেখা দিয়েছে। কখনও জানা যাচ্ছে, তিনি নিউ ইয়র্কের কোনও হোটেলে আছেন। কখনও আবার গোয়েন্দারা খবর পাচ্ছেন, দুবাইয়ে অবস্থান হীরকরাজের। এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, নীরবকে কি আদৌ দেশে ফেরানো সম্ভব হবে? এর আগে একই কাজ করে বিদেশে বহাল তবিয়তে আছেন বিজয় মালিয়া। এদিকে নীরবের আইনজীবীর অভিযোগ, ২-জি কাণ্ডের মতোই ধামাচাপা পড়ে যাবে এই ঘটনা। গোয়েন্দা সংস্থা এখন যতই হইহল্লা করুক না কেন, আইনের পথে কিছুই প্রমাণ করতে পারবে না। নীরব মোদিও পুরো ঘটনার দায় ঠেলেছেন পিএনবি-র উপরেই। এই প্রেক্ষিতেই দেশের মানুষের আস্থা ফেরাতে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে নীরবকে ফেরানোর বিষয়টি। সেই খোঁচা দিয়েই রাহুল বলেন, দেশের সকলের হয়ে এক মোদির কাছে তাঁর আবেদন, এবার বিদেশ সফরে গেলে যেন আর এক মোদিকে ফিরিয়ে আনেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নীরব মোদির তুলনাও টানেন রাহুল। বলেন, নীরব আসলে হীরের ব্যবসায়ী, স্বপ্ন ফেরি করেন। আর এক মোদিও আচ্ছে দিনের স্বপ্ন বিক্রি করেছিলেন। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ফেরানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে এই সরকার হতাশা আর নিরাপত্তাহীনতা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। বস্তুত চাঁচাছোলা ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ হেনেছেন রাহুল। বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের আগে এই ইস্যুতে পদ্ম শিবিরকে কোণঠাসা করতে যে কংগ্রেস মরিয়া তা স্পষ্ট।
[ ধুঁকছে ব্যাংকিং সেক্টর, সংকট কাটাতে বিশেষ পুজো হায়দরাবাদের মন্দিরে ]
এদিকে নীরব কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হল আরও এক ব্যাংক আধিকারিককে। প্রাক্তন ম্যানেজার রাজেশ জিন্দল ছিলেন ব্র্যাডি হাউস শাখার ব্রাঞ্চ হেড। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঋণখেলাপির পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার নাগাল পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.