Advertisement
Advertisement
নির্বীজকরণ

নির্বীজকরণ না করালে যাবে চাকরি! স্বাস্থ্যকর্মীদের হুঁশিয়ারি কমল নাথের

নির্দেশিকা না মানলে অবসরের পরামর্শ স্বাস্থ্যকর্মীদের।

Get at least one man sterlisied or lose job, says Kamal Nath govt
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 21, 2020 12:39 pm
  • Updated:February 21, 2020 12:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সঞ্জয় গান্ধী একদা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন “হম দো হামারে দো”। সেই বক্তব্যকেই পাথেয় করে এবার মধ্যপ্রদেশেও সেই নিয়ম জারি করতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তাঁর রোষানলে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা। জন্ম নিয়ন্ত্রণের কড়া নির্দেশকা জারি মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের প্রতিটি পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেকে তিনি নির্দেশ দেন, মার্চের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের একজন করে পুরুষকে নির্বীজকরণ করাতে হবে। তাঁর পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি অনুযায়ী, পুরুষদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM) এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে কমল নাথের জারি করা এই নির্দেশিকা দেশের মনে করিয়ে দেয় দেশের জরুরি অবস্থার কথা।

একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০২০ বর্ষে যে সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্যের একজন করে পুরুষকেও নির্বীজকরণ করাতে সফল হননি তাদের বেতন আটকানো হবে, অথবা তাদের স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হবে। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশিত, মধ্যপ্রদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন-৪-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কমল নাথ দাবি করেন, মধ্যপ্রদেশে প্রায় ০.৫ শতাংশ পুরুষ নিজেদের নির্বীজকরণ করিয়েছেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ডিরেক্টর একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেন, ২০১৯-২০২০ বর্ষে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই নির্দেশিকা অনুযায়ী ”একটাও কাজ করেননি” তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের বেতনও আটকে রাখা হবে। নির্দেশিকা জারি করে লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের অবসর নিতে ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন:ওয়েইসির সভায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান তরুণীর, বিতর্ক তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে]

দিনে দিনে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে যুবকদের মধ্যে। পড়াশোনা শিখেও মিলছে না চাকরি। ফলে জন্মাচ্ছে হতাশা। সরকার জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিলেও এখনও মানুষের অজ্ঞতাই তাদের ভবিষ্যতের উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ১৯৭৬ সালে ২৪ নভেম্বর দিল্লির উত্তাওয়ার থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারতীয়দের আবেদন করেছিলেন সঞ্জয় গান্ধী। এরপর মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী সেই একই কাজ করা জন্য নির্দেশিকা জারি করেন। জন্ম নিয়ন্ত্রণের কথা বলে কিছুদিন আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও বিতর্কের সম্মুখীন হন। এমনকি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গত বছর মুক্তি পাওয়া একটি বলিউড সিনেমাতেও এই একই বার্তা দেওয়া হয়। 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement