সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন পর্যন্ত পরিসংখ্যান যা ছিল তাতে মনমোহন জমানার সার্বিক বৃদ্ধির হার স্পর্শ করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। বলা ভাল, ইউপিএ আমলের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হারের ধারে কাছেও যেতে পারেনি এনডিএ। এবার সেই ছবিটা বদলাতে চলেছে। শেষবার যখন কেন্দ্রীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান মন্ত্রক জিডিপির তথ্য নতুন করে পরিমাপ করেছিল, তখন দেখানো হয় ইউপিএ জমানায় সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার ১০.৩। সেটা ছিল ২০১০-১১ অর্থবর্ষে। কিন্তু বুধবার সেই হিসেব আবারও বদলানো হয়েছে। এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে তা আগের হিসেবের তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছে। নীতি আয়োগের নতুন তথ্যে দাবি করা হয়েছে ১০.৩ নয়, মনমোহন জমানার সর্বোচ্চ আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। শুধু ২০১০-১১ অর্থবর্ষ নয়, ২০০৪-৫ অর্থবর্ষ থেকে প্রতি বছরই আর্থিক বৃদ্ধির হারের হিসেবেই পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং তা বেশ খানিকটা কমিয়ে দেখানো হয়েছে নতুন হিসেবে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০০৫-০৬ অর্থবর্ষে জিডিপির হার ৯.৩ থেকে কমিয়ে ৭.৯ করা হয়েছে। ২০০৬-০৭ অর্থবর্ষেও ৯.৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৮.১ শতাংশ। ২০০৭.০৮ অর্থবর্ষে ৯.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৭.৭ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এই জিডিপির পরিবর্তনে অখুশি কংগ্রেস। তাদের দাবি, ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের সরকারের আর্থিক সাফল্যকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছে মোদি সরকার। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম এই নতুন হিসেবকে বাজে রসিকতা বলে মন্তব্য করেছেন। এমনকী যে নীতি আয়োগ এই হিসেব দেখিয়েছে সেই ‘অকর্মণ্য’ নীতি আয়োগ ভেঙে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
এতদিন পর্যন্ত ইউপিএ জমানার আর্থিক বৃদ্ধিকে উদাহরণ হিসেবে দেখাত কংগ্রেস। কিন্তু লোকসভা ভোটের পাঁচ মাস আগে এই নয়া হিসেব কংগ্রেসের হাতের সেই অস্ত্রটি কেড়ে নিল। যদিও, নতুন হিসেবেও মনমোহন জমানার আর্থিক বৃদ্ধিই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেই বৃদ্ধির হারকে এখনও ছুঁতে পারেনি এই সরকার। এখনও পর্যন্ত মোদি জমানায় জিডিপির সর্বোচ্চ হার ছিল ৮.১ শতাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.