Advertisement
Advertisement

নোট বাতিল, জিএসটি-র জোড়া ধাক্কায় কমল আর্থিক বৃদ্ধির হার

রাজনীতিবিদদের বিজ্ঞাপন মিথ্যে করে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কাই সত্যি হল।

GDP hits new low following demonetisation, GST blow
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 1, 2017 6:39 am
  • Updated:October 1, 2019 4:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের অর্থনীতি যে বেলাইন হয়ে পড়বে, সে আশঙ্কা আগেই করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। মানতে চাননি রাজনীতীকরা। লাভের গাজর সামনে ঝুলিয়েই চলেছে দেদার প্রচার। কিন্তু আখেরে দেখা গেল প্রচার ও বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা সত্যি করেই কমল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার।

মোদির বিজ্ঞাপনে খরচ ২১ হাজার কোটি টাকা, তোপ শিব সেনার  ]

Advertisement

প্রথমে নোট বাতিল। তারপর জিএসটি। প্রায় পিঠোপিঠি দুই বড় সিদ্ধান্তের জেরে দেশের অর্থনীতি প্রায় থমকে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি জিডিপি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক অফিস বা সিএসও। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৫.৭ শতাংশ। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের এই হিসেব গত তিন বছরের তুলনায় সবথেকে কম। গত ত্রৈমাসিকে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ।  ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে এই পর্বে বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৯ শতাংশ। তথ্যই জানিয়ে দিচ্ছে, কতটা থমকে গিয়েছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জিএসটি জালু হওয়ার আশঙ্কায় দেশের উৎপাদনের হারও কমেছে। পণ্য ও পরিষেবা কর দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পক্ষে লাভজনকই হবে। কিন্তু যেভাবে ও যে দ্রুততায় তা দেশে চালু করা হয়েছে, তাতে অসন্তুষ্ট বহু অর্থনীতিবিদই। এমনকী জিএসটি রূপায়ণে যিনি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েছিলেন, সেই অমিত মিত্রও জানিয়েছিলেন, এভাবে জিএসটি রূপায়ণে ক্ষতিই হচ্ছে। বড় শিল্প থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্র- প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। জিএসটি রূপায়ণের জন্য যে পরিকাঠামো দরকার তা এখনও দেশে নেই। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঠিক তার আগেই নোট বাতিলের চোট গিয়েছে। দুয়ে মিলে একরকম দিশেহারা দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা। এর প্রভাবই জিডিপি-তে পড়েছে বলে বিশ্বাস অর্থনীতিবিদদের।

মধ্যরাতে পদত্যাগ ৬ মন্ত্রীর, মোদির মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত  ]

পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আর্থিক বৃদ্ধির হারের এই কমে যাওয়া স্বীকার করে নিয়েই তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী ত্রৈমাসিকে নীতিগত পরিবর্তন করে এই বৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement