সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষের ভিড়। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে বাড়ি ফিরতে হবে যে। অপেক্ষা করার আর সময় নেই। তাই এই বেলাই রেলের খাতায় নাম নথিভুক্ত করতে হাজার হাজার শ্রমিকরা ভিড় জমিয়েছেন গাজিয়াবাদের (Gaziabad) রামলীলা ময়দানে। যেই ছবি দেখে চোখ কপালে উঠেছে চিকিৎসকদের।
সামাজিক দূরত্ব সেটা আবার কী? গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানের চিত্র সেই প্রশ্নই তুলবে মানুষের মনে। রেলের খাতায় নাম নথিভুক্ত করাতে হাজার হাজার শ্রমিকেরা ভিড় জমিয়েছেন এই মাঠে। একে অপরের সঙ্গে তাঁরা বসেছেন গায়ে গায়ে। কেউ বা দাঁড়িয়ে রয়েছেন চড়া রোদের মাঝে। এত দূরত্ব মানতে গেলে তো আর বাড়ি ফেরাই হবে না বলে মত পরিযায়ী শ্রমিকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নাস্তানাবুদ জেলা পুলিশ। গাজিয়াবাদ জেলা আধিকারিকের তরফ থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে নাম নথিভুক্ত করার সমস্ত পদ্ধতির আয়োজন হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এই ময়দানে। জানা যায়, যে শ্রমিকরা বিশেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরতে চান তাদের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে এইখানে এসে। পাশাপাশি তাঁদের স্ক্রিনিং করে করোনা আক্রান্ত কিনা তা যাচাই করার প্রক্রিয়াও চলবে। এরপরেই মিলবে ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার অনুমতি। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতিকে ত্রুটি বিহীন করতে এদিন ময়দানে হাজির ছিলেন গাজিয়াবাদের জেলা আধিকারিক ও জেলা শাসকরা। তবে এত নিয়ম মানতে গিয়ে যে সামাজিক দূরত্বকে শিকেয় তুলেছেন তা বোধহয় ভুলেই গেছেন তারা।
আউরিয়ার রাস্তায় দুর্ঘটনার পরই নড়ে চড়ে বসে যোগী সরকার। তাই সীমান্ত বন্ধ করে পায়ে হেঁটে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ন্ত্রণ করতেই গাজিয়াবাদের মাঠে ডাকা হয় রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের। অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই গুজরাটের আহমেদাবাদে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাধে পরিযায়ী শ্রমিকদের। বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। প্রথমে বুঝিয়ে ও পরে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করেন পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে। ফলে লাঠির ঘায়ে জখম হন বেশ কয়েকজন।
একদিকে নিয়তির পরিণতিতে কর্মহারা জীবন অন্যদিকে গলার সুর চড়ালেই মিলছে পুলিশের লাঠি বাড়ি। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন এই শ্রমিকেরা। কেউ আবার বেঘোরেই প্রাণ হারাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.