সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গয়া পুর নির্বাচনে (Civic Body Election) ঐতিহাসিক ঘটনা। ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) নির্বাচিত হলেন মহিলা সাফাই কর্মী চিন্তা দেবী। উল্লেখ্য, গত ৪০ বছর ধরে সরকারি দপ্তরে সাফাই কর্মীর কাজ করে আসছেন তিনি। সেই মানুষটাই এবার শহরের অন্যতম অভিভাবক হতে চলেছেন। চিন্তা দেবীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গয়ার (Gaya) মেয়র-সহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা। সকলেই চিন্তার নির্বাচনে বেজায় খুশি। তাঁদের বক্তব্য, এটাই গয়ার সংস্কৃতি।
চিন্তা দেবী একটা দীর্ঘ সময় ধরে স্যানিটাইজেশন স্টাফ হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি সবজি বিক্রিও করেছেন তিনি। ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে চিন্তা দেবীকে সমর্থন করেছেন গয়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মোহন শ্রীবাস্তব (Mohan Srivastava)। তিনি বলেন, “নির্বাচন জিতে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি (চিন্তা দেবী)।” মোহন আরও বলেন, “নাগরিকরা পিছিয়ে পড়া মানুষকে সমর্থন করেছেন, সমাজ তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।”
গয়ার এই সংস্কৃতি অবশ্য নতুন না। আগেও পিছিয়ে পড়া মানুষ মাইলফলক তৈরি করেছে বিহারের এই প্রাচীন শহরে। ১৯৯৬ সালে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র হয়ে গয়ায় লোকসভায় নির্বাচিত হন ভগবতী দেবী। যিনি প্রান্তিক মুসাহার সম্প্রদায়ের। এই ভগবতী দেবীর পেশা ছিল পাথর ভাঙা। গত নয়ের দশকে গয়ার এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল।
চিন্তা দেবীর ডেপুটি মেয়র নির্বাচন নিয়ে গনেশ পাসোয়ান বলেন, গয়া সেই স্থান, যেখানে আলোকিত হয় মানুষ। এখানে মুসাহার সম্প্রদায়ের একজন মহিলা লোকসভায় যান। মানুষ এখানে উদাহরণ তৈরি করেন। একজন মহিলা, যিনি এলাকার শৌচালয় পরিচচ্ছন্ন করতেন, তিনি আজকে একটি শহের ডেপুটি মেয়র। গোটা পৃথিবীর কাছেই এটা উদাহরণ। ঐতিহাসিক ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.