সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবার নতুন করে আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। গৌতম আদানির (Gautam Adani) দাদা বিনোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা। কারচুপি করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম বাড়ানের অভিযোগ বিনোদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে সেবি এবং ইডি-র (ED) তদন্ত চেয়েছে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল। যদিও প্রথম থেকেই বিনোদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী। যদিও ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে, আদানি সাম্রাজ্যের নেপথ্য কারিগর বিনোদ!
উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গ ডামাডোলের আবহে ক্রমশ ‘গরিব’ হচ্ছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে এসেছে, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম ২৫-এর বাইরে ছিটকে গিয়েছেন বিতর্কিত শিল্পপতি। আমেরিকার আর্থিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগই আনা হয়েছিল। যার জেরে শুরু হয় একাধিক সংস্থার শেয়ার দরের পতন। এর মধ্যেই সামনে আসছে সংস্থার একটি রিপোর্ট, যাতে দেখা যাচ্ছে বিনোদ আদানির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তাঁকে গোষ্ঠীর বড় পদে রাখা হয়নি।
গত বছর আগস্টে ১০.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দু’টি সিমেন্ট ব্যবসার মালিকানা নিজেদের দখলে আনার কাছাকাছি পৌঁছেছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই সময় সংস্থার তরফে এবং তাদের ব্যাংকগুলি লেনদেনর নথি প্রকাশ্যে আনে। ওই নথি অনুযায়ী ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ভার্জিন, মরিশাস এবং দুবাইয়ের সাতটি সংস্থার কথা। যারা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যার মধ্যে একটি ফার্ম সিমেন্ট কোম্পানির শেয়ার খোলা বাজার থেকে কিনবে বলে ঠিক হয়। নথিতে উল্লেখ করা হয়, এর ফলে গৌতম আদানি লাভবান হবেন না। বরং দাদা বিনোদ এবং তাঁর স্ত্রী রঞ্জনবেনকে ‘বেনিফিশারি’ হিসেবে দেখানো হয়। এভাবেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন লেনদেনে ভূমিকা নিয়েছিলেন বিনোদ। যেখানে কারচুপির অভিযোগ উঠছে।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’ সিরিজে টুইট করে জয়রাম রমেশ একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যেহেতু এই বিষয়ে ‘মৌন বাবা’ সেজে চুপ করে আছেন (যেমন ছিলেন চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে), ফলে আমরা প্রশ্ন করা বন্ধ করব, এমনটা ভাবা ভুল হবে।” বিনোদের বিরুদ্ধে চুক্তির কথা না-জানিয়ে কোটি কোটি ডলার লেনদেনর অভিযোগও তুলেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি আর দাবি করেন, বিপাকে পড়ে বিনোদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলছে শিল্পগোষ্ঠী। রমেশ টুইটে জানান, বিভিন্ন সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া তথ্যেই তাঁকে (বিনোদ আদানি) গোষ্ঠীর অংশ বলে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অস্বস্তিতে সমস্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.