সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারী বদলে দিয়েছে গোটা পৃথিবীর অর্থনীতিকে। মন্দের মুখে তৎকথিত উন্নত বহু দেশ। সেই সময় ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) শক্তিশালী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত, আশাবাদী ধনকুবের শিল্পপতি গৌতম আদানি (Goutam Adani)। তিনি জানান, আদানি গোষ্ঠীর উত্থান বেলুন নয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে সাফল্য, এই অভিযোগেরও জবাব দিয়েছেন আদানি। তাঁর সাফ কথা, ২২টি রাজ্যে ব্যবসা করছি, সব জায়গায় বিজেপি (BJP) নেই।
শক্তি, বন্দর, খনি, বিমানবন্দর, পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসায়িক বৃদ্ধি গত কয়েক বছরে চোখে পড়ার মতো। ক্রমশ ভারত, এশিয়া তথা বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠছেন জন্মসূত্রে গুজরাটের বাসিন্দা গৌতম আদানি। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে আদানি বলেন, ভারতীয় অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনে “মাথাপিছু আয় বাড়বে, কাজের সুযোগ বাড়বে। আগামী বছরগুলোতে ভারতকে কেউ আটকাতে পারবে না।” পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিল্পপতি। জানান, স্বাধীনতার পর ৫৮ বছর লেগেছিল ১ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হতে। পরবর্তী ১২ বছরে তা হয় ২ লক্ষ কোটি, পরের পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ কোটি। ইদানীংকালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতেই ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হয়ে উঠবে ভারত।
উল্লেখ্য, সম্পত্তির হিসেবে গৌতম আদানি বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি। ৬০ বছর বয়সি এই শিল্পপতির নেতৃত্বের আদানি গোষ্ঠী গত পাঁচ বছরে বিমানবন্দর, সিমেন্ট, তথ্য কেন্দ্র, সবুজ হাইড্রোজেন, পেট্রোকেমিক্যাল পরিশোধন, রাস্তা এবং সৌর বিদ্যৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে। আগামী দিনে আরও বেশি বিনিয়োগের ভাবনা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে শিল্পপতিকে প্রশ্ন করা হয়, আদানির বেলুন ফেটে যাবে না তো? উত্তরে তিনি বলেন, “এটা কিছু সমালোচকের ইচ্ছে। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি যে আদানি গোষ্ঠীর সম্পদের পরিমাণ আমাদের ঋণের তিন থেকে চার গুণ বেশি। এখানে প্রত্যেকের অর্থ নিরাপদে রয়েছে।”
এইসঙ্গে মোদি তথা গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠতা এবং সাফল্যের প্রসঙ্গে গৌতম আদানি বলেন, “প্রতিটি রাজ্যে বিনিয়োগ করতে চাই আমরা। আদানি গোষ্ঠী খুশি, বর্তমানে ২২টি রাজ্যে কাজ করছি আমরা।” এরপরই শিল্পপতি বলেন, “সমস্ত রাজ্যই কিন্তু বিজেপি-শাসিত নয়। এ কথা বলতে পারি, আমাদের কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম সমস্যা নেই।” আদানি মনে করিয়ে দেন, “এমনকী বাম-শাসিত কেরল, মমতাদিদির পশ্চিমবঙ্গ, নবীন পট্টনায়কজির ওড়িশা, জগন্মোহন রেড্ডি, কেসিআর-এর রাজ্যেও (তেলেঙ্গানা) কাজ করছি আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.