ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুনে জড়িতদের বোমা তৈরি শিখিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অভিনব ভারতের নিখোঁজ চার সদস্য। এমনটাই দাবি করা হল কর্ণাটক পুলিশের তরফে। বেঙ্গালুরু আদালতে গৌরী লঙ্কেশ হত্যা মামলার শুনানিতে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন গোপন শিবিরে গৌরী লঙ্কেশকে খুনে অভিযুক্ত সনাতন সংস্থার সদস্যদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের এই প্রশিক্ষণ দিয়েছিল অভিনব ভারতের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া চার সদস্য।
ওই চারজনের বিরুদ্ধে সমঝোতা এক্সপ্রেস, মক্কা মসজিদ, আজমের দরগা ও মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে রামজি কালসাঙ্গরা ও সন্দীপ ডাঙ্গে-কে ইতিমধ্যেই অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদের সঙ্গে মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধেও।
২০১৭ সালে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। এই খুনের তদন্তের জন্য কর্ণাটক পুলিশের তরফে বিশেষ একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তাদের দাবি, গৌরী খুনে ধৃত সনাতন সংস্থার তিন সদস্য এবং চারজন সাক্ষী বোমা তৈরির ওই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, ওই ক্যাম্পে এক ‘বাবাজি’ ও চারজন ‘গুরুজি’ ছিল। এদের মধ্যে ‘বাবাজি’ সুরেশ নায়ারকে আজমের দরগায় বিস্ফোরণের অভিযোগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি চারজন ‘গুরুজি’ বা বোমা তৈরির বিশেষজ্ঞ ছিল সন্দীপ ডাঙ্গে, রামজী কালসাঙ্গরা, অশ্বিনী চৌহান ও প্রতাপ হাজরা। বাকি তিনজন অভিনব ভারতের সদস্য হলেও প্রতাপ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভবানী সেনার সদস্য।
পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, বোমা তৈরি, আইইডি ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শেখাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৯টি ক্যাম্প করে সনাতন সংস্থা। পাঁচজন বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও কর্ণাটকে পাঁচটি ক্যাম্প করে। ওই ক্যাম্পগুলিতে যোগ দেওয়া সনাতন সংস্থার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে সমাজকর্মী নরেন্দ্র দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে, বিখ্যাত স্কলার এম এম কালবুর্গী ও গৌরী লঙ্কেশ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.