সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপহরণ বা ব্ল্যাকমেল নয়। অভিনেতা সলমন খানকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। জানিয়েছে ধৃত গ্যাংস্টার সম্পত নেহেরা। এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। তারপরই পুলিশের কাছে একথা স্বীকার করেছে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নেহেরার বয়স ২৮ বছর। কিছুদিন আগে মুম্বইয়ে রেইকি করতে গিয়েছিল সে। পরিকল্পনা যাতে কোনওভাবে বানচাল না হয়, তার জন্য চেষ্টার কোনও কসুর করেনি। অভিনেতার বাড়ির ছবি তুলে সে নিয়ে আসে। আশপাশের রাস্তার পরিদর্শনও করে আসে। নিজের মোবাইল ফোনে গোটাটাই রেখে দেয় সে। বিষ্ণোইরা সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। কৃষ্ণসার হত্যার জন্য সলমনের উপর রেগে ছিল তারা। তারই ফলশ্রুতি হুসেবে সলমনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয় বলে মনে করছে পুলিশ।
[ OMG! আচমকা নিজের নাম পালটে ফেললেন প্রীতি জিন্টা! ]
সম্পত নেহেরা একজন শার্প শুটার। বিষ্ণোই সংগঠনের সদস্য সে। জানুয়ারিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সলমনকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সম্ভবত সেই হুমকি বাস্তবায়িত করতেই নেহেরা ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু ৬ জুন হায়দরাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির সময় কৃষ্ণসার হত্যা করেন সলমন খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সইফ আলি খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলম। সেই হিসেবে কৃষ্ণসার হত্যা মামলা প্রায় ২০ বছর পুরনো। তখন থেকেই সলমনের বিচার চলছে। এবছর এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত হন সলমন। তাঁকে পাঁচ বছর কারাবাসের সাজা শোনানো হয়। বাকিদের বেকসুর খালাস করা হয়। সলমনকে পাঠানো হয় যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে। কিন্তু জেলে দু’দিন কাটানোর পর জামিনে ছাড়া পান তিনি।
[ হিন্দু সন্ত্রাস দেখানো হয়েছে ‘কোয়ান্টিকো’-এ, কাঠগড়ায় প্রিয়াঙ্কা ]
সলমনকে হত্যার চেষ্টা ছাড়াও নেহেরার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। INLD-র এক নেতার ভাইকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে নেহেরা ও তার দলের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ের এ ব্যবসায়ীর থেকে তিন কোটি টাকা নেওয়া ও পুলিশের উপর গুলি চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.