Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণ

বাবার থেকে কিনে মেয়েকে ‘গণধর্ষণ’, মানসিক অবসাদে গায়ে আগুন তরুণীর

পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ৷

Gangraped victim sets fire herself at Uttar Pradesh

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 13, 2019 5:13 pm
  • Updated:May 13, 2019 5:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার আঘাত পেয়েছিলেন বাবার কাছ থেকে৷ তার মদতেই ধর্ষণের শিকারও হতে হয়েছিল তরুণীকে৷ ভেবেছিলেন রুখে দাঁড়াবেন৷ সুবিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ কিন্তু লাভ হয়নি৷ সুবিচার তো দূরস্ত, পরিবর্তে পুলিশ অভিযোগও জমা নেয়নি তাঁর৷ এই পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদ যেন গ্রাস করেছিল তরুণীকে৷ তাই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি৷ গুরুতর জখম অবস্থায় আপাতত দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে চলছে যমে-মানুষে লড়াই৷

[ আরও পড়ুন: ‘১৯৮৮-তেই ব্যবহার করেছি ডিজিটাল ক্যামেরা’, মোদির মন্তব্যে হাসির রোল]

জীবনের কুড়িটা বসন্ত পেরিয়েছেন তরুণী৷ বয়সের গণ্ডি ১৮ পেরোতে না পেরোতেই বিয়ে হয়ে যায়৷ যাঁর হাত ধরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই স্বামীও মারা গিয়েছেন কয়েকদিন আগেই৷ সদ্য বিধবা ওই তরুণীকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও আর গুরুত্ব দেয়নি৷ তাই ঠাঁই নিয়েছিলেন বাপের বাড়িতে৷ ভেবেছিলেন রাজকন্যার মতো না হোক, অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান হয়তো করবেন বাবা৷ কিন্তু নাহ! ভাগ্যদেবী প্রসন্ন না হলে যে কত কিছুই হতে পারে, তা নিজের জীবন দিয়ে বুঝলেন ওই তরুণী৷ স্বামীহারা মেয়েকে গঞ্জনা দিতেন বাবা৷ সেটা মানিয়ে নিয়েছিলেন৷ কিন্তু তরুণীর দাবি, একদিন জানতে পারেন বাবা এবং কাকিমা বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁকে৷ বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন বাবা৷ তাঁর আরও অভিযোগ, এই সুযোগে ওই ক্রেতা এবং তার এক বন্ধু মিলে একাধিকবার ধর্ষণ করে তরুণীকে৷ শুধু তাই নয়, রীতিমতো শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে টাকা উপার্জনের জন্যও নির্যাতিতাকে চাপ দেওয়া হত বলেও অভিযোগ৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘দেবী’ থেকে ‘মা’, দুই কন্যার জননী হলেন লৌহমানবী ইরম শর্মিলা]

একসময় শারীরিক অত্যাচার অসহ্য হয়ে ওঠে তাঁর৷ পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা৷ তবে অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর অভিযোগ জমা নিতে অস্বীকার করেন৷ এরপর বাধ্য হয়ে দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে চিঠিও পাঠান তিনি৷ চিঠি পাওয়ার পরই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেন স্বাতী৷ তবে মানসিক অবসাদে ইতিমধ্যেই গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন তরুণী৷ শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে তাঁর৷ আপাতত দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি নির্যাতিতা৷ এদিকে, মহিলা কমিশনের তৎপরতায় এই ঘটনায় মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ৷ তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি যোগীর রাজ্যের ঊর্দিধারীরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement