সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালোয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ (Galwan Martyred) হয়েছিল ছেলে। তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ তথা আবক্ষ মূর্তি স্থাপন নিয়ে হেনস্তার স্বীকার হলেন বাবা। প্রয়াত সেনার বাবাকে চড় মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পরে শহিদ জয় কিশোর সিংয়ের বাবাকে গ্রেপ্তার করে হয়। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। যদিও হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পরিবারের বক্তব্য, বাড়িতে ঢুকে দুর্ব্যাবহার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি বিহারের (Bihar) বৈশালী জেলার। জয় কিশোর সিংয়ের ভাইও ভারতীয় সেনায় কর্মরত। তিনি অভিযোগ করেন, “ডিএসপি ম্যাম ১৫ দিনের মধ্যে স্মৃতিস্তম্ভ তুলে ফেলতে বলেন। পরে এক পুলিশ আধিকারিক বাড়িতে এসে বাবাকে মারধর করেন। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।” কিন্তু গালোয়ান শহিদের স্মৃতিস্তম্ভটি তুলে ফেলতে বলা হচ্ছে কেন?
পুলিশের দাবি, শহিদের মূর্তি বসানো হয়েছে যেখানে সেটি সরকারি জমি। মূর্তি স্থাপনের আগে কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি হরি নাথ রাম নামের এক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন। তাঁর জমির গা ঘেঁষে বসানো হয়েছে মূর্তিটি। যার পর তৎপর হয় পুলিশ। উল্লেখ্য, স্মৃতিস্তম্ভটি আংশিকভাবে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মিত হয়েছিল। প্রয়াত সৈনিকের আবক্ষ মূর্তিটি তাঁর বাড়ির সামনে সরকারি জমিতে স্থাপন করা হয়। সরকারি কর্মকর্তারা মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে আবক্ষ মূর্তিটিকে ঘিরে দেয়াল তোলা হয়েছিল। যার পর অভিযোগ, হেনস্তা এবং গ্রেপ্তারি।
গালোয়ান শহিদের বাবা রাজকুমার সিং বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, শহিদ সেনার বাবার সঙ্গে দুর্ব্যাবহার করেছে পুলিশ। অবিলম্বে রাজকুমার সিংয়ের মুক্ত চেয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.