Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার ভোটার আই কার্ডে থাকছে না পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা

আধার কার্ডকে অন্যতম পরিচয়পত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার৷

full address will not be there on the Voter ID
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2016 9:52 am
  • Updated:September 25, 2016 9:52 am  

শুভঙ্কর বসু ও কলহার মুখোপাধ্যায়: এবার ভোটার আই কার্ড বা এপিক কার্ডে থাকছে না পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা৷ অনলাইন সিস্টেমে ভোটার কার্ড প্রস্তুতির গেরোতেই এই বিপত্তি৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্যের আধিকারিকরা৷

আধার কার্ডকে অন্যতম পরিচয়পত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার৷ ভবিষ্যতে আধার কার্ডই হতে চলেছে একমাত্র পরিচয়পত্র বা ‘সোল আইডেনটিটি কার্ড’৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত এপিক বা ভোটার আই কার্ডই হল সর্বজনস্বীকৃত পরিচয়পত্র৷ এমনকী রাজ্যের একাধিক জেলায় এখনও পর্যন্ত আধার কার্ড প্রস্তুতির প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি৷ দেশের একাধিক রাজ্যেও আধার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ৷ তাহলে এপিক কার্ড বা ভোটার আই কার্ডের ক্ষেত্রে কেন এই বিপত্তি?

Advertisement

গত ১৮ জুলাই থেকে গোটা দেশে ‘ন্যাশনাল ইলেকটোরাল রোল পিউরিফিকেশন’ প্রোগ্রাম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন৷ ২০১৭-র ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন৷ রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা নাম-ঠিকানা সংশোধনের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর৷ ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে একজন ভোটারকে আগের মতোই ৬ নম্বর ফর্ম পূর্ণ করে আবেদন জমা দিতে হবে৷ কিংবা নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে ৮ নম্বর ফর্মে আবেদন করতে হবে৷ বিপত্তির শুরু তার পরই৷ পুরনো নিয়মে একজন ভোটার প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করে আবেদন জানানোর পর সরকারি কর্মীরা ডেটা এণ্ট্রির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য ভোটারের সমস্ত তথ্য পূরণ করতেন৷ সম্ভাব্য ভোটারের ঠিকানা-সহ সমস্ত তথ্য যথাস্থানে লিপিবদ্ধ করার পর রিটার্নিং অফিসার মারফত তা নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে যেত৷ সেই অনুযায়ী এপিক বা ভোটার কার্ড প্রস্তুত হত৷ কিন্তু এই নিয়মেই বদল এসেছে৷

এবার ডেটা এণ্ট্রির মাধ্যমে নয়, গোটা প্রক্রিয়াই সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইনে৷ একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে৷ এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, একজন ভোটার নাম তোলা বা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম পূর্ণ করে আবেদন জানানোর পর সংশ্লিষ্ট তথ্য অনলাইনে আপলোড করা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে যে সফওয়্যারের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে সেখানে সমস্ত তথ্য পূরণ করা গেলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঠিকানাটি সফটওয়্যারই নির্ধারণ করে দিচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে ডেটা এণ্ট্রির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেওয়ার উপায় নেই৷

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জানিয়েছেন ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ করছেন এমন আধিকারিকরা৷ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হওয়া একাধিক ভিডিও কনফারেন্সে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তাঁরা৷ কারণ এ রাজ্যের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভোটার আই কার্ডে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না থাকলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement