সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একরত্তি মেয়ে বাবা কাগজের স্টলে সাহায্য করত৷ কখনও অসুবিধা হলে একাই স্টল সামলে দিত৷ মাঝে যেটুকু সময় পেত, তাতেই সারত পড়াশোনা৷ সেই কষ্টের মূল্য আজ পেয়েছে কানপুরের শিবাঙ্গী৷ আজ আইআইটি রুরকির ছাত্রী কানপুরের এই কন্যা৷ এর মধ্যেই এসে গিয়েছে মোটা মাইনের চাকরির অফার৷
শিবাঙ্গীর সাফল্যের এই কাহিনির সূত্রপাত হয়েছিল দেহা সরকারি স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর৷ মেধাবি ছাত্রী হলেও নিজের কেরিয়ারের দিশা খুঁজছিল শিবাঙ্গী৷ পথ দেখানোর মতো কেউ আশেপাশে ছিল না৷ তখনই হঠাৎ খবরের কাগজের মাধ্যমে জানতে পারে ‘সুপার ৩০’ নামে এক কোচিং সেন্টারের কথা৷ আনন্দ কুমার নামে এক ব্যক্তি চালান এই সংস্থা৷ যা সাহায্য করে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মেধাবি পড়ুয়াদের৷
সেখানেই গিয়ে দরবার করে শিবাঙ্গী৷ পড়াশোনার পাশাপাশি আনন্দ কুমারের মায়েরও দেখাশোনা করত সে৷ এরমধ্যেই মেলে সুখবর, আইআইটি রুরকিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে শিবাঙ্গী৷ শিবাঙ্গীর বাবার মতে, স্বপ্ন দেখলে তা অবশ্যই পূরণ হয়৷ তবে এত বড় স্বপ্ন তিনি কোনওদিন দেখেননি৷
পড়া শেষ হওয়ার আগেই মোটা মাইনের চাকরি শিবাঙ্গীর হাতের মুঠোয়৷ তবে সবার আগে ডিগ্রি হাতে চান কানপুরের মেধাবি ছাত্রী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.