সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সফরেই ফের মৃত্যু মণিপুরে (Manipur)। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ফের নতুন করে সংঘর্ষ রাজধানী ইম্ফল-সহ একাধিক এলাকায়। তাতেই গুলি লেগে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দু’জন। ভারতীয় সেনার তরফে জানা গিয়েছে, ইম্ফলে বিশাল সংখ্যক মানুষ জমা হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁদের সরিয়ে দিলে ইম্ফলের বিজেপি (BJP) দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই ভবনের মাত্র ৩০০ মিটার দূরেই রয়েছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই মণিপুরের বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন রাহুল গান্ধীর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাংপোকপি জেলার একটি গ্রামে গুলিবর্ষণ শুরু করে সশস্ত্র জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনীও। সেই সময়েই গুলি লেগে একজনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ারও খবর মেলে। পরে সেনার তরফে জানানো হয় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী ইম্ফল। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এহেন পরিস্থিতিতেই দু’দিনের জন্য মণিপুর সফরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়। মাত্র ২০ কিলোমিটার এগোতেই আটকে দেওয়া হয় তাঁর কনভয়। পরে চপারে করে চূড়াচাঁদপুর পৌঁছন রাহুল। সেখান থেকে মৈরাং যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হয়, কোনওভাবেই মৈরাং যেতে পারবেন না তিনি। রাতে ইম্ফল ফিরে এসেছেন রাহুল। শুক্রবার তাঁর পরিকল্পনা মাফিক কর্মসূচি করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
যদিও অগ্নিগর্ভ মণিপুরে রাহুলের সফর নিয়ে প্রথম থেকেই তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের মতে, মণিপুরের পরিস্থিতি এমনিতেই যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তার মধ্যে জেদ করে সফর করতে গিয়ে আসলে মানুষের বিপদ বাড়াচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আসলে মিডিয়ায় প্রচার পেতেই এই সফর করছেন রাহুল গান্ধী। প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে চপারের বদলে গাড়িতে চেপে চূড়াচাঁদপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.