সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী বছর চোদ্দর এক স্কুল পড়ুয়া। সে বয়েজ লকার রুমের সদস্য বলেই অনুমান পুলিশের। গুরুগ্রামের এই কিশোরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে সরব হয়েছিল কিশোরী। তারপরই আত্মহত্যা করে সে।
জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে একটি অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্টে কিশোরীর শ্লীলতাহানি করা হয়। যাতে কিশোরীর কাউকে কিছু না জানায় তাই ভয়ও দেখানো হত তাকে। সে কারণে কাউকে কিছুই জানায়নি কিশোরী। তবে সম্প্রতি সে সাহস সঞ্চয় করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির কথা জানিয়ে দেয় সে। সেই ঘটনাতেই নাম জড়ায় ওই কিশোরের। পুলিশ সূত্রে খবর, ইনস্টাগ্রামে তৈরি হওয়া বয়েজ লকার রুমের সদস্যও ছিল সে। তাই এ বিষয়ে পুলিশ তাকে জেরা করতে পারে বলেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল কিশোরের। সব মিলিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল গুরুগ্রামের স্কুলছাত্র। তাই গভীর রাতে নিজেদের ১২ তলার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দেয় কিশোর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তার।
ওই কিশোরকে ঝাঁপ দিতে দেখে এলাকার অন্য একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকা কিশোরের বন্ধু। তবে সে এ বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানায়নি। অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে থাকতে দেখে। সেক্টর ৫৩ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই কিশোর বয়েজ লকার রুমের সদস্য ছিল বলেই মনে করছে পুলিশ। সে কোন কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলত এবং কী ধরনের মেসেজ আদানপ্রদান করত, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, ইনস্টাগ্রামের বয়েজ লকার রুম গ্রুপের এক অ্যাডমিনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। বুধবার তাকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে এই গ্রুপ সম্পর্কে কিছু বলতে চায়নি সে। পরে যদিও জানায়, সামান্য কয়েকজনকে নিয়ে বয়েজ লকার রুম গ্রুপ খোলে সে। পরবর্তীকালে ওই সদস্যদের মাধ্যমে অনেকেই গ্রুপে যোগদান করে। তবে যারা সদস্যদের মাধ্যমে গ্রুপে ঢোকে তাদের সকলকে সে ব্যক্তিগতভাবে চিনত না। এই ঘটনায় আরও ১১ জনকে জেরা করা হচ্ছে। তাদের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.