Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kulgam

সাধারণ আলমারির পিছনে গোপন বাঙ্কার! কুলগামে ৪ জঙ্গির মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে ‘নিপুণ শিল্পকর্ম’

আলমারির দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জওয়ানদের।

Four terrorists killed in Kulgam hid in bunker concealed behind cupboard
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 8, 2024 12:59 pm
  • Updated:July 8, 2024 1:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন আলমারি। বাইরে থেকে দেখে ঘুণাক্ষরেও বোঝার উপায় নেই এর পিছনে রয়েছে আস্ত একটি বাঙ্কার। যাতে অনায়াসে লুকিয়ে থাকতে পারে ৪-৫ জন মানুষ। জঙ্গিদের এমন নিপুণ শিল্পকর্মের জেরে প্রথমটাই বেশ হোঁচট খেতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। কিন্তু কথায় বলে চোরের ৭দিন গৃহস্তের একদিন। ফলে কোনও চালই শেষ পর্যন্ত টিকল না। বাঙ্কারের পিছনে লুকিয়ে থাকা ৪ জঙ্গিকে শেষ পর্যন্ত খতম করল সেনা।

গত শনিবার গোপন খবরের ভিত্তিতে কুলগামের ফ্রিজল চিন্নিগাম এলাকায় অভিযানে নেমেছিল সেনা। তবে চিরুনি তল্লাশি চলাকালীন শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। তবে জঙ্গিদের গুলিতে দুই সেনাকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর পর ড্রোন ক্যামেরায় যে জায়গা থেকে জঙ্গিদের হামলা চালাতে দেখা গিয়েছিল সেখানে তল্লাশি চালিয়ে এক ঘরের ভিতর অন্যান্য গৃহস্থালি জিনিসপত্রের সঙ্গেই নজরে পড়ে আলমারিটি। তার দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জওয়ানদের। দেখা যায় বাড়ির নিচে গোপন বাঙ্কার বানিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিরা। সেই বাঙ্কারে ঢোকার পথ হল আলমারির নকল দরজা। জঙ্গিদের এমন নিপুণ শিল্পকর্মের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে সেনার তরফে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি মুম্বই, রাস্তায় ভাসছে গাড়ি, থমকে ট্রেন পরিষেবা]

শনিবার রাতে কুলগামে সেনা অভিযানে চার জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল সেনাবাহিনী। মৃতদের মধ্যে একজন ছিল হিজবুল কমান্ডার। এনকাউন্টার অভিযান শেষ হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমকে এক সেনা আধিকারিক বলেন, রাতভর গুলির লড়াইয়ের পর ৪ জঙ্গিকে নিকেশ করে জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত ওই বাড়িটিকে কার্যত গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানেই সন্ধান মেলে ওই গোপন বাঙ্কারের। সেনার নজর থেকে আত্মগোপন করতে ওই বাঙ্কার বানিয়েছিল জঙ্গিরা। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়েই সেটি তৈরি করা হয়েছিল। গোয়াট বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আত্মগোপনের পাশাপাশি নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখতে ওই বাঙ্কার ব্যবহার করত জঙ্গিরা।

[আরও পড়ুন: রাজ্যপাল বোসের অভিযোগের জের! বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র]

উল্লেখ্য, রেয়াসিতে পুণ্যার্থীদের বাসে জঙ্গি হামলার পর কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার। সেইমতো অলআউট অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে উপত্যকায় সক্রিয় ৭০ জন পাক সন্ত্রাসবাদী। সেই জঙ্গিদের টার্গেট করে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বাহিনী। এদিকে সেনার চোখের আড়ালে থেকে লুকিয়ে হামলা চালাতে অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করছে উপত্যকার জঙ্গিরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement