সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বড়সড় হামলার ছক বানচাল। সীমান্তে সংঘর্ষে নিকেশ চার জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল। জঙ্গিরা হামলা শুরু করে। হামলায় নিকেশ চার জঙ্গি। জানুয়ারি মাসে এই নিয়ে ১৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করল জওয়ানরা। প্রথমে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। পরে আরেকটি দেহ উদ্ধার করে আনে জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে একজন ভারতের এক আইপিএস অফিসারের ভাই আছে। অন্য এক জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা।
সোমবার সকাল থেকে সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়। কাশ্মীরের বুদওয়ান জেলায় গুলি চালানো শুরু করে জঙ্গিরা। ভারতীয় জওয়ানরা তার জবাব দেয়। তারপর থেকেই শুরু হয় একের পর এক সংঘর্ষ। সোপিয়ানের জৈনপোরা এলাকার সীমান্তে মঙ্গলবার সংঘর্ষ শুরু হয়। জওয়ানদের সঙ্গে ছিল পুলিশ, সিআরপিএফ জওয়ানরাও। সেনা সূত্রে খবর, সংঘর্ষ চলাকালীন মোট ছ’জন জঙ্গি আক্রমণ শুরু করে। তাই আরও দেহ উদ্ধার হতে পারে। তারই খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চার মৃত জঙ্গির মধ্যে একজন আইপিএস অফিসারের ভাই। সে কীভাবে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিল, তা নিয়ে তদন্ত চালাবে সেনা।
সোমবার পর্যন্ত জানুয়ারিতে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৯ জঙ্গির। এদিনের ঘটনা যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়াল ১১। ১৮ জানুয়ারি গ্রেনেড হামলায় কেঁপে ওঠে উপত্যকা। শ্রীনগরের লালচক এলাকায় হামলা চালায় কিছু জঙ্গি। এরপর বড় আক্রমণ হয় সোপিয়ানের গগরান এলাকায়। তৃতীয় বড় হামলা হয় পুলওয়ামা জেলার পুলিশ চৌকিতে। পাকিস্তান বারবার সীমান্তে সন্ত্রাস নিয়ে ইস্যুতে পাকিস্তানকে সাবধান করেছে ভারত। তারপর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বারবার ভারতীয় সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান সেনা। সঙ্গে আক্রমণ জঙ্গি সংগঠনগুলোর। তবে বছরের শুরুতে এই আক্রমণের ঝাঁঝ যেন কিছুটা বেশি। এক মাসের মধ্যে ১১ জন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.