সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজপির তথা প্রথম মোদি সরকারের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর অকালপ্রয়াণের পর বাড়ি গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা।সমবেদনা, সৌজন্যের অভাব ছিল না। কিন্তু তবু কোথায় যেন তাল কেটে গিয়েছে। তার আভাসও মিলেছিল মোদি সরকার ২.০-র শুরুতে। এবার সরকারি পেনশন গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে জেটলির পরিবার।
[আরও পড়ুন: একুশের আগে বঙ্গে জনসংযোগে জোর, পুজো উদ্বোধনে আজ শহরে অমিত শাহ]
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে পেনশন না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অরুণ জেটলির পরিবার। রাজ্যসভার সদস্য থাকার কারণে তিনি সরকারি নিয়মে পেনশনভোগী৷ মৃত্যুর পরও তাঁর পরিবারের পেনশন প্রাপ্য৷ কিন্তু সেই পেনশন নিতে অস্বীকার করলেন জেটলি পরিবারের সদস্যরা৷ এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জেটলি পরিবার জানিয়েছে, রাজ্যসভায় কর্মরত বহু কর্মীর মাসিক বেতন কম৷ তাঁদের ইচ্ছে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর পেনশনের টাকা ওই সমস্ত কম বেতনের কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে। সাংসদ থাকার দরুণ প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো পেনশন পেতেন জেটলি। সেইমতো মৃত্যুর পর মাসে মাসে ওই অঙ্কের অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার টাকা প্রাপ্য তাঁর পরিবারের।
বেশ কিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ থাকার পর গত ২৩ আগস্ট মারা যান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর৷ উল্লেখ্য, প্রথম মোদি সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সমলেছেন জেটলি। তবে দলে অমিত শাহর গুরুত্ববৃদ্ধির পর থেকেই কার্যত পদ্ম শিবিরের রাশ তাঁর হাতের বাইরে চলে যায়। বিগত লোকসভা ভোটে প্রার্থীও হননি তিনি। যদিও দলের একান্ত অনুগত থাকে কখনও মুখ ফুটে ক্ষোভ উগরে দেননি জেটলি। বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যসভার আয় বৈষম্য নিয়েই সরকারকে খোঁচা দিয়েছে জেটলির পরিবার। উল্লেখ্য, সাংসদরা মোটা অঙ্কের মাইনে পান, অথচ অন্যান্য কর্মীদের বেতন অনেকটাই কম। ফলে সেদিকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে জেটলির পরিবার।
[আরও পড়ুন: পরিবহণ দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক চালক-কন্ডাক্টরদের বেতনবৃদ্ধি, পুজোর উপহার ‘জলসাথী’দেরও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.