সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও প্রবল কংগ্রেসের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। প্রদেশ সভাপতির গদি হারানোর পর এবার দল ছাড়লেন হরিয়নারা কংগ্রেস নেতা অশোক তানোয়ার। রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ তানোয়ারকে কিছুদিন আগেই হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রকাশ্যেই দলের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন তানোয়ার।
রাহুল গান্ধী সভাপতি হওয়ার পর নিজের হাতে তানোয়ারকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে বসান। কিন্তু, অপেক্ষাকৃত তরুণ তানোয়ারের নেতৃত্ব মানতে চাননি বিএস হুদা, কুমারী শৈলজার মতো প্রবীণ নেতারা। রনদীপ সিং সুরজেওয়ালাও তানোয়ারের নেতৃত্বে খুশি ছিলেন না। সব মিলিয়ে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় কংগ্রেস। কিন্তু, তানোয়ারের মাথায় ছিল রাহুলের হাত। তাঁর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচনে লড়ে কংগ্রেস। কিন্তু, লোকসভায় হরিয়ানা থেকে শূন্য হাতেই ফিরতে হয় কংগ্রেসকে। ভোটের পর পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধীও। ফলে, তানোয়ার চাপে পড়ে যান। শেষ পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বদলে হুদার ঘনিষ্ট কুমারী শৈলজাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী করা হয়। এরপর থেকেই দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তানোয়ার। বিধানসভায় দলের প্রার্থী তালিকা নিয়েও প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তানোয়ার। তাঁর দাবি, টাকার বদলে টিকিট বিক্রি করেছেন বিএস হুদা। সে অভিযোগে আমল দেয়নি দল। তাই শেষ পর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই দল ছাড়লেন তিনি।
শনিবার চার পাতার একটি পদত্যাগপত্র কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তানোয়ার। তাতে তিনি লিখেছেন, কংগ্রেস দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। আর এর জন্য বিরোধীদলগুলি দায়ী নয়। বরং দায়ী দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই দলটিকে আমি অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি করেছি। তানোয়ারের দাবি, খুব একটা অমূলক নয়। হরিয়ানায় কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। নয় নয় করে, কংগ্রেসের অন্তত চারটি গোষ্ঠী রয়েছে হরিয়ানায়। শুধু হরিয়ানা নয়, গোটা দেশেই দলের অন্দরে একাধিক গোষ্ঠী। ভোটমুখী মহারাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতি কংগ্রেসের। আর এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই কংগ্রেস দিন দিন দুর্বল হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.