Advertisement
Advertisement

Breaking News

coal block allocation scam

কয়লা ব্লক বন্টনে দুর্নীতির জের, ৩ বছরের জেল বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যের

দোষী সাব্যস্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই।

Former NDA minister Dilip Ray gets three-years’ imprisonment for coal block allocation scam Sangbad Pratidin

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 26, 2020 9:13 pm
  • Updated:October 26, 2020 10:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা ব্লক বন্টন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তিন বছরের জেল হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়ের। সোমবার এই নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এই মামলার অন্য তিন দোষী সাব্যস্তকেও তিন বছর করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজিস লিমিটেড ও ক্যাস্ট্রন মাইনিং লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানিকে ৬০ লক্ষ ও ১০ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে এক লক্ষ টাকার বেল বন্ডের মাধ্যমে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার ওই সদস্যকে জামিন দেয় আদালত। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে হাই কোর্টের যাওয়ারও সময় দেওয়া হয়েছে।

আজ থেকে ২০ বছর আগে অটলবিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)’র আমলে কয়লা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ওড়িশার বিজু জনতা দলের তৎকালীন রাজ্যসভা সাংসদ দিলীপ রায় (Dilip Ray)। সেসময় তিনি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় অবস্থিত ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লক (coal block)-টি বেআইনিভাবে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেড (CTL) -কে পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে এই মামলটি নয়াদিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে ওঠে। আর তারপর থেকে একাধিকবার শুনানি হওয়ার পর গত ৬ অক্টোবর কয়লা দপ্তরের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাঁর পাশাপাশি এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, নিত্যানন্দ গৌতম ও ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেডের অধিকর্তা মহেন্দ্র কুমার আগরওয়াল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুবাই থেকে ধৃত কেরল সোনা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ]

এই মামলা প্রসঙ্গে আদালত জানায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বেআইনিভাবে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। দিলীপ রায় যে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ করার জন্য আইন ভেঙে এই কাজ করেছিলেন তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। আর সবকিছু জেনেই এই কাজে তাঁকে যে দুজন শীর্ষ আমলা সাহায্য করেছিলেন তারও প্রমাণ মিলেছে। তাই তাঁদের প্রত্যেককেই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল।

[আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মেহবুবা মুফতির, দল ছাড়লেন তিন নেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement